প্রতিমাসের নির্দিষ্ট এই দিনগুলো বেশিরভাগ মেয়ের কাছেই এক অসহনীয় কষ্টের সময়। শরীর এবং মনের ওপর এর প্রভাব এতটাই বেশি থাকে যে, এই সময় অনেক কাজই সঠিকভাবে করা সম্ভব হয় না। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মেয়েদের। অথচ আধুনিক যুগেও এই বিষয়ে সকলের যতটা সচেতন হওয়া উচিত, ততটা দেখা যায় না। আমরা বলছি পিরিয়ডের কথা। এই সময় শারীরিক যেসকল সমস্যা দেখা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম হল কোমরে ব্যথা। এই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ব্যথানাশক ওষুধের শরণাপন্ন হন। তবে নিয়মিত পেইন কিলার খেলে তার ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। পিরিয়ডের সময় কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় জানিয়েছে বোল্ডস্কাই।
আদা: আদার অনেক ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে, যা প্রায় সকলেই জানেন। এটি পিরিয়ডের সময় কোমর ও পিঠের ব্যথা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। মেয়েদের শরীরে যে হরমোন ব্যথার সৃষ্টি করে, আদা সেই হরমোনের ক্ষরণকে বাধা দেয়। এই সময় আপনি আদা চা পান করতে পারেন অথবা গরম জলের সাথে থেঁতো করা আদা মিশিয়েও খেতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার: পিরিয়ডের সময় বাইরের খাবার সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলুন। এই ধরণের খাবার কোমর ও পিঠের ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ভাজাভুজি খাবারও বাদ দিন। পরিবর্তে প্রচুর জল ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ ফল খান। ফলের মধ্যে কলা বেশি করে খান, কারণ এটি পটাশিয়ামে ভরপুর। এছাড়াও খাবারের তালিকায় সবুজ শাকসবজি যোগ করুন। এই সময় শরীরে আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের প্রয়োজন হয়। তাই বেদানা, খেজুরের মতো ফল খাদ্যতালিকায় রাখুন।
ভেষজ চা: পিপারমিন্ট পাতা গরম জলে ফুটিয়ে ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে পান করলে কোমর ও পিঠের ব্যথা অনেকটাই কম অনুভূত হবে। এছাড়াও আপনি লেবু চা পান করতে পারেন। আদা চাও এক্ষেত্রে সমান উপকারী। এই সকল চা পিরিয়ডের সময় ক্লান্তি দূর করতে এবং শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
জল: এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা অত্যন্ত জরুরি। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং খাবার সঠিকভাবে হজম করতে জল পান করা অপরিহার্য। পিরিয়ডের সময় ব্যথা অনুভব হলে জলের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।
উপরিউক্ত ঘরোয়া উপায়গুলি অবলম্বন করার পরেও যদি আপনার ব্যথা না কমে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।