অনেকের ধারণা ব্ল্যাক কফি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। বরং, দিনে অন্তত দু’বার চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সকালে ব্রেকফাস্টের পর এক কাপ এবং সন্ধ্যাবেলায় এক কাপ কফি পান করা যেতে পারে। এক কাপ কফিতে প্রায় ৬০% পুষ্টি, ২০% ভিটামিন এবং ১০% খনিজ ও ক্যালরি থাকে, যা হৃদযন্ত্রসহ দেহের অন্যান্য অংশের উপকার করে থাকে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এর সম্পূর্ণ উপকারিতা পেতে হলে চিনি ছাড়া কফি পান করতে হবে।
আসুন জেনে নিই চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফির সাতটি অসাধারণ উপকারিতা:
১. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
ব্ল্যাক কফি মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে মনে রাখার ক্ষমতা অনেকখানি বেড়ে যায়। এটি নার্ভকেও সচল রাখে, যা মানসিক সতেজতা বজায় রাখতে সহায়ক।
২. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস
কফির উপাদানসমূহ রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে এবং মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। নিয়মিত কফি পানে প্রায় ৭% পর্যন্ত ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
৩. পেট পরিষ্কার রাখতে
কফি পান করলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। চিনি ছাড়া কফি পান করলে শরীরের ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ এবং ব্যাকটেরিয়া প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে বের হয়ে যায়, যা পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৪. ওজন হ্রাস
ব্ল্যাক কফি ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। এটি মেটাবলিজম প্রায় ৫০% বাড়িয়ে দেয় এবং পেটে জমে থাকা চর্বি গলাতে সহায়ক। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের খাদ্যতালিকায় ব্ল্যাক কফি একটি গুরুত্বপূর্ণ পানীয় হতে পারে।
৫. ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন চার কাপ কফি পান করেন, তাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। ব্ল্যাক কফি পুরুষদের ক্ষেত্রে ২০% এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ২৫% ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
৬. হার্ট সুস্থ রাখে
ব্ল্যাক কফি দেহের প্রদাহ (ইনফ্লামেশন) কমিয়ে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে থাকে। চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি হার্টকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. মনকে হাসিখুশি রাখে
এক কাপ ব্ল্যাক কফি মুহূর্তেই আপনার মন ভালো করে দিতে পারে। এতে থাকা ক্যাফিন নার্ভ সিস্টেমকে প্রভাবিত করে মনকে খুশি এবং সতেজ করে তোলে।