গরমকাল আসা মানেই ত্বকের নানা সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা। ঘাম, আর্দ্রতা এবং অন্যান্য কারণে এই সময় ত্বকে চুলকানির সমস্যা বেড়ে যায়। এই অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক চুলকানি একবার দেখা দিলে সহজে নিস্তার পাওয়া কঠিন। অনেকেই বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করেও আশানুরূপ ফল পান না। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই! পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক ত্বককে আরাম দিতে পারে এমন কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান সম্পর্কে:
ওটমিলের ম্যাজিক: ওটমিলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ, যা ত্বকের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়ক। এর পাশাপাশি, এটি চুলকানির সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে। আরাম পেতে, স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা ওটমিল মিশিয়ে প্রায় ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর সেই জলে স্নান করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের চুলকানি ধীরে ধীরে কমে যাবে।
অ্যালোভেরার শীতল স্পর্শ: অ্যালোভেরা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার পাশাপাশি চুলকানির সমস্যা সমাধানেও দারুণ কার্যকর। পোকামাকড়ের কামড় বা সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকে হওয়া চুলকানি কমাতে প্রতিদিন অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে, যাদের অ্যালোভেরাতে অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের এটি ব্যবহার না করাই উচিত।
বেকিং সোডার ব্যবহার: বেকিং সোডা শুধু রান্নাঘরেই নয়, ত্বকের যত্নেও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ত্বকে চুলকানি অনুভব হলে, জলের সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি চুলকানির স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি এবং রোদে পোড়া দাগ কমাতেও সাহায্য করে।
আপেল সাইডার ভিনেগারের উপকারিতা: আপেল সাইডার ভিনেগারে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান, যা চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক। সামান্য জলের সাথে কয়েক ফোঁটা আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে তুলোর বল বা নরম কাপড়ের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ত্বকের চুলকানি কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। তবে, সমস্যা গুরুতর হলে অবশ্যই একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গরমকালে ত্বকের সঠিক যত্ন নিন এবং প্রাকৃতিক উপায়ে চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পান।