হার্ট অ্যাটাক নিয়ে একটি নতুন গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তরুণদের চেয়ে তরুণীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি বলে জানাচ্ছে এই গবেষণা। ‘করোনারি হৃদরোগে লিঙ্গ পার্থক্য’ নামক সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কমবয়সী পুরুষদের তুলনায় নারীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি।
গবেষকদের দাবি, অল্পবয়সী নারীদের শরীরে হরমোনের ওঠানামার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রার পরিবর্তন ধমনীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। এর ফলে অল্পবয়সী নারীদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে নারীদের মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা যায়, যেমন – শ্বাসকষ্ট, বমি ভাব এবং ক্লান্তি। কিন্তু অনেক নারীই এই লক্ষণগুলোকে অবহেলা করেন, যার ফল মারাত্মক হতে পারে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, নারীরা যখন হার্ট অ্যাটাক অনুভব করেন, তখন তাদের মধ্যে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা পুরুষদের তুলনায় কম। চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে তাদের মৃত্যুঝুঁকিও বেশি থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। যাদের পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস আছে, তাদের আরও সতর্ক এবং সচেতন থাকা উচিত। হৃদরোগের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং সময় মতো চিকিৎসা গ্রহণের গুরুত্ব নিয়েও বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েছেন।