আয়োডিনের অভাব কেন আপনার জন্য মারাত্মক হতে পারে? জানতে অবশ্যই পড়ুন

থাইরয়েড ডিসঅর্ডারের জন্য শরীরে আয়োডিনের অভাব দেখা দেওয়ার সমস্যাটি পুরো বিশ্ব জুড়েই বেশ কমন।
হাইপোথায়ারডিজমের জন্য কীভাবে শরীরে আয়োডিনের অভাব দেখা দেয়, সেটা সঠিক ও সরলভাবে ব্যাখ্যা করা খুবই জটিল। তবে উভয় সমস্যাই একে-অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এদিকে শরীরে আয়োডিনের অভাবে দেখা দিতে থাকে নানান ধরণের লক্ষণ ও শারীরিক সমস্যা। শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য এই মিনারেলটি অত্যান্ত প্রয়োজনীয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন হয়- শরীরে আয়োডিনের অভাবের কোন লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও, পরীক্ষা করলে দেখা যাবে তার শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি রয়েছে। আয়োডিনের অভাব শনাক্ত করার জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে মূত্র কিংবা রক্ত পরীক্ষা করা।

তবে আয়োডিনের অভাবে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে থাকে। যা সূক্ষ্মভাবে নিরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব হবে। এমন কয়েকটি লক্ষণ জেনে রাখুন।

১. সবসময় অনেক বেশি ক্লান্তি বোধ হবে। কোন কাজ করার আগ্রহ ও ইচ্ছা কাজ করবে না। ল্যাথার্জিক বা অলস ভাব অনেকি বেশি জেঁকে বসবে। শরীরের মেটাবলিজমের হার কমে যাওয়ার ফলে এই লক্ষণটা দেখা দেওয়া শুরু হয়।

২. তুলনামূলক উষ্ণ স্থানে থাকার পরেও ঠাণ্ডা বোধ করা। সঙ্গে থাকা অন্যান্যরা যখন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠিক আছেন, তখন আপনার প্রচন্ড ঠাণ্ডা লাগবে।

৩. যেকোন কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগ একেবারেই কমে যাবে। সঙ্গে কোন কিছু মনে রাখাটাও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে।

৪. হুট করে অকারণে ওজন অনেক বেশি বেড়ে যাবে।

৫. সবারই মন কোন না কোন সময় খারাপ হয়। আবার ভালোও হয়ে যায়। তবে আপনার ক্ষেত্রে লাগাতার মন খারাপ ও হতাশাভাব দেখা দিতে থাকবে।

৬. শরীরের ত্বক তুলনামূলক ও স্বাভাবিকের চাইতে বেশি ফোলা লাগবে। এই সমস্যাটা বিশেষভাবে দেখা দেয় মুখের ক্ষেত্রে। মুখ অনেক বেশি ফুলে যায়।

৭. আবহাওয়ার বদল কিংবা অন্যান্য কারণে চুল পড়ার সমস্য বাড়ে এবং সঠিক পরিচর্যায় নির্দিষ্ট সময় পর কমেও যায়। কিন্তু আয়োডিনের অভাবে হুট করেই চুল পড়ার হার বেড়ে যাবে এবং পরিচর্যা করেও চুল পড়ার হার কমানো যাবে না।

৮. ঘনঘন কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিবে।

৯. ত্বকের শুষ্কভাব বৃদ্ধি পাবে।

১০. মাঝে মাঝে হার্টবিট ধীর হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিবে।

১১. মুখমন্ডলের গাল ও ঘাড়ের অংশ ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আয়োডিনের ঘাটতি দূর করতে সঠিক চিকিৎসা ও খাদ্যাভাসের অভ্যাসই যথেষ্ট। তবে শরীরে যেন আয়োডিনের অভাব দেখা না দেয় তার জন্য আগে থেকেই সচেতন হওয়া প্রয়োজন এবং শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি আছে কিনা সেটা শনাক্ত করার জন্য পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy