সম্পর্ক বা বিয়ে তো সবাই করে, কিন্তু সম্পর্কে টিকে থাকে বা কতজন? তবে এটা শুধু একার দোষেই হয় না, দু’জনের কারণেই হয়ে থাকে। একটি সুখের সংসার গড়ে তুলতে চাইলে শুধু স্ত্রীর ভূমিকা থাকে না, বরং স্বামীর ভূমিকা অনেক বেশি থাকে। আর যদি স্বামী কোনো ভূমিকাই পালন না করেন, তাহলে সম্পর্ক ভেঙে যেতে বাধ্য।
তাই স্ত্রী ও সংসারের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও মনোযোগ দিতে হবে। এতে যেমন সম্পর্ক মধুর থাকবে, তেমনি আপনিও একজন যোগ্য স্বামী হয়ে উঠবেন।
১. সম্পর্কের পেছনে সময় দিন
বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলেপুলে হয়ে গেছে, তাই বলে ফুরিয়ে গেছে দাম্পত্য? একদমই নয়। বরং এখনই সম্পর্কের পেছনে অধিক সময় দিতে হবে। স্ত্রী এমন কেউ নন যে চিরকাল আপনার সাথে থাকতে বাধ্য। ভালোবাসা ও যত্ন না পেলে তার মনও অন্যদিকে চলে যেতেই পারে। তাই কেবল জীবন নিয়ে পরিকল্পনা না করে সম্পর্ক নিয়েও পরিকল্পনা করুন। কীভাবে দুজনে ভালো সময় কাটাবেন, কোথায় বেড়াতে যাবেন, কী উপহার দেবেন, কী বলবেন ইত্যাদি নিয়ে ভাবাও জরুরি।
২. প্রতিদিন ভালোবাসার ভিত্তি স্পর্শ করুন
সম্পর্কের একটা ভিত্তি থাকে, আর সেই ভিত্তি হচ্ছে ভালোবাসা। তাই প্রতিদিন সেই ভালোবাসার ভিত্তি স্পর্শ করুন। তাকে জানান যে ভালোবাসেন। তার সাথে কথা বলুন। তিনি কেমন আছেন জানতে চান। নিজের কথাও তাকে জানান। পারস্পরিক যোগাযোগ সম্পর্ককে সতেজ রাখে।
৩. সংসারের দায়িত্বে সক্রিয় ভূমিকা নিন
সংসার স্ত্রীর একার নয়, আপনারও। সমস্ত বড় সিদ্ধান্তগুলো দুজনে একসাথে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিন। যেসব ব্যাপারে আপনি একাই সিদ্ধান্ত নিতেন, সেগুলোতে স্ত্রীকে ডাকুন। যেসব কাজ স্ত্রী একাই করেন, সেগুলোতে আপনি সাহায্য করুন। দায়িত্ব ভাগাভাগি সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪. সঙ্গীর নিজস্ব সময়কে মূল্য দিন
মানুষ কোনো মেশিন নয় যে আজীবন একই রকম চলবে। মাঝে মাঝে সকল মানুষেরই একটু বিশ্রাম দরকার হয়, রোজকার জীবন থেকে একটু ব্রেকের প্রয়োজন হয়। এই ব্রেক আমাদেরকে সম্পর্ক পরিচালনা করতে উজ্জীবিত করে থাকে। তাই, নিজের যখন অবসর চাই বুঝতে শিখুন। সঙ্গী কখন অবসর চাইছে সেটাও বুঝে নিন আর সেই সময়ে তাকে একটু নিজের মতো থাকতে দিন। ব্যক্তিগত স্পেসকে সম্মান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫. কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ছোট হন না
তিনি আপনার জীবনে আছেন বলেই জীবন সুন্দর, সংসার সুন্দর, আপনার জীবন চমৎকারভাবে চলছে। বিষয়টি যদি এমন হয়ে থাকে, তবে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলবেন না। ভালোবাসার মানুষকে যত ধন্যবাদ জানাবেন, সম্পর্ক তত সুন্দর হয়ে উঠবে। ছোট ছোট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সম্পর্কের বন্ধনকে দৃঢ় করে।
কিছু নিয়ম মানা জরুরি
রোজকার কাজে কিছু নিয়ম মেনে চলাই উচিত। যেমন ধরুন, গোসল শেষে টাওয়েল আপনি বিছানাতেই ফেলে রাখেন। কী দরকার বলুন তো? একটু কষ্ট করে বারান্দায় মেলে দিন কিংবা নিজের জুতোগুলো গুছিয়ে রাখুন। কীভাবে আপনাদের সংসার চলবে, সেই বিষয়ে কিছু নিয়ম দুজনে একসাথে বসে তৈরি করে নিন আর সেগুলো মেনে চলুন। অনেক সমস্যাই সহজ হয়ে যাবে এবং সুশৃঙ্খল জীবনযাপন সম্পর্কের স্থিতিশীলতা বাড়াবে।