শেভিংয়ের পর চুলকানি? মুক্তি মিলবে সহজ এই টিপসগুলোতে!

শেভিং করার পর ত্বকে চুলকানি অনুভব করেছেন? এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে পান না? কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললেই অনায়াসে এই সমস্যার থেকে মিলবে মুক্তি। ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষদের শেভিংয়ের পর গালে জ্বালাভাবে মুখের ত্বকে চোট পড়ার আশঙ্কা থাকে, যা ত্বকের কোমলতা নষ্ট করে। পাশাপাশি মুখের ত্বকের সৌন্দর্যহানি করে। তাই শেভিংয়ের পর অবশ্যই মুখের ত্বকে বাড়তি যত্ন নিতে হবে।

শেভ করার পর চুলকানির কারণ কী?
কখনো নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে শেভ করার পরে চুলকানির কারণ কী? উত্তরটি প্রায়শই আপনার ত্বকের ওপর দিয়ে গ্লাইড হওয়া ব্লেডগুলোতে থাকে। এমনকি আপনি শেভ করার পরেও আপনার চুলের ফলিকলগুলো আপনার ত্বকের পৃষ্ঠের নীচে বাড়তে থাকে। কখনো কখনো, রেজার দিয়ে আপনার ত্বকের উপর গ্লাইডিং জ্বালা হতে পারে।

আরেকটি বিষয় হলো সাজসজ্জার জন্য শরীরে প্রচুর সুগন্ধি বা অ্যালকোহলযুক্ত পণ্য ব্যবহার করা। এগুলো আপনার ত্বকে শুকিয়ে যেতে পারে, যার ফলে শুষ্ক ত্বক হয় যা আপনার রেজারকে আটকে রাখতে পারে।

ফলিকুলাইটিস (Folliculitis) নামক রোগের কারণেও চুলকানি হতে পারে। ফলিকুলাইটিস ঘটে যখন চুলের ফলিকলগুলো ফুলে যায়। আপনি আপনার চুলের ফলিকলের চারপাশে ছোট লাল দাগ বা পিম্পল লক্ষ্য করবেন যা প্রায়শই চুলকানির কারণ হয়।

শেভ করার পরে কীভাবে চুলকানি রোধ করবেন?
উপরের টিপসগুলো ত্বকের যত্নের জন্য উপকারী। কিছু সাধারণ প্রস্তুতি আপনার শেভিংকে আরও মসৃণ করে তুলতে পারে এবং শেভিংয়ের পরে কীভাবে চুলকানি বন্ধ করতে হয় তা জানতে আপনাকে সহায়তা করতে পারে।

প্রথমে ছাঁটাই করুন: শেভ শুরু করার আগে কাঁচি দিয়ে কোনো লম্বা চুল দ্রুত ছাঁটাই করা জরুরি। এতে আপনার শেভিং যন্ত্রটিকে সহজেই চুল কাটতে সহায়তা করবে।
শুষ্ক ত্বকে শেভ করবেন না: আপনার রেজারটি আপনার ত্বকের পৃষ্ঠের উপরে গ্লাইড করতে দেওয়ার জন্য, শেভ করার আগে এটি প্রস্তুত রয়েছে তা নিশ্চিত করুন। সেজন্য হালকা গরম পানি দিয়ে ত্বককে ভিজিয়ে রাখুন, যা আপনার চুলকে নরম করে শেভ করা সহজ করে তোলে।
ভালো শেভিং জেল ব্যবহার করুন: এই ধরনের সমস্যার ফাঁদ এড়াতে চাইলে আপনাকে ভালো মানের শেভিং জেল ব্যবহার করতে হবে। তাতে দাড়ি খুব ভালো করে লুব্রিকেট করা সম্ভব হবে। চেষ্টা করুন এসব ক্ষেত্রে জেলের বদলে ফোম ব্যবহার করার। আর এমন ফোম ব্যবহার করবেন যা সেনসিটিভ ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। তাহলেই শেভ করতে পারবেন খুব সহজে।
ভালো মানের রেজার কিনুন: বেশিরভাগ বাঙালিই রেজার কেনার সময় একটু বেশিই কিপ্টেমি করে ফেলেন। যার ফলে তাঁরা কম দামি রেজার দিয়ে শেভ করেন। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাঁদের গালের বেজে যায় বারোটা। এমনকি দাড়িও ঠিকমতো কাটা হয় না। সেই সঙ্গে শেভিং করার পর শুরু হয় চুলকানি। তাই এই সমস্যার সহজ সমাধান করতে চাইলে এবার থেকে ভালো মানের রেজার ব্যবহার করুন।
সঠিক আফটার শেভ কিনুন: অনেক সময় খারাপ মানের আফটার শেভ ব্যবহারের কারণে বিপদ বাড়ে। শেভ করার পর গাল চুলকাতে শুরু করে দেয়। তাই নিজের ত্বকের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে একটা উন্নত মানের আফটার শেভ কিনুন। তাহলেই দেখবেন দাড়ি কাটার পর গাল চুলকাবে না। উল্টে ত্বকের লাবণ্য ফুটে বেরোবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy