শিশুদের সুস্থতার জন্য অভিভাবকদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। শিশুর অসুস্থতা নির্ণয় করতে সাধারণত ওজন দেখা হলেও, শুধুমাত্র এর উপর নির্ভর করা উচিত নয়। এমন অনেক লক্ষণ আছে যা দেখে বোঝা যায় যে, শিশুর শরীরে কোনো সমস্যা বাসা বাঁধছে। শিশুদের জন্য একটি বড় সমস্যা হলো ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা। শিশুদের ডিহাইড্রেশন বোঝার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় জেনে নেওয়া যাক:
১. প্রস্রাব এবং ডায়াপার:
যদি লক্ষ্য করেন যে শিশুর ডায়াপার ঘনঘন বদলাতে হচ্ছে না, তবে এটি আনন্দের বিষয় নয়, বরং চিন্তার কারণ। এর মানে হতে পারে শিশুর শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়াও, যদি প্রস্রাবের রঙ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলুদ হয়, তবে এটি ডিহাইড্রেশনের স্পষ্ট লক্ষণ।
২. ঠোঁট ও মুখের শুষ্কতা:
শিশুর শরীরে জলের ঘাটতি হয়েছে কিনা তা জানতে তার ঠোঁট ও মুখের চারপাশে শুষ্কতা দেখা যাচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য করুন। ডিহাইড্রেশনের কারণে শিশুর হাত ও পা অস্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা বা গরম হয়ে যেতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৩. অশ্রুহীন কান্না:
শিশুর ডিহাইড্রেশনের একটি বড় চিহ্ন হলো কান্নার সময় চোখ দিয়ে জল না পড়া। যদি দেখেন যে শিশু কাঁদছে কিন্তু তার চোখে জল নেই, তবে বুঝতে হবে তার শরীরে জলের গুরুতর ঘাটতি রয়েছে।
৪. ঝিমিয়ে পড়া:
ডিহাইড্রেশন বা পুষ্টির অভাবে শিশু আগের চেয়ে অনেক বেশি ঝিমিয়ে পড়ে। সে দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটাবে এবং তার স্বাভাবিক চঞ্চলতা কমে যাবে। এই প্রবণতা দেখা দিলে দ্রুত সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
৫. খিটখিটে মেজাজ:
শরীরে জলের অভাব হলে শিশু খিটখিটে হয়ে পড়ে এবং অস্বাভাবিকভাবে ঘ্যানঘ্যান করে বা কান্নাকাটি করে। যদিও অতিরিক্ত কান্নাকাটির পেছনে অন্য কারণও থাকতে পারে, তবে অন্যান্য লক্ষণের সঙ্গে এটি দেখা গেলে ডিহাইড্রেশন হয়েছে বলে সন্দেহ করা যেতে পারে।
শিশুদের এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এবং পর্যাপ্ত জল ও তরল খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরি।