শরীরে কত ধরনের মেদ থাকে? এড়িয়ে না গিয়ে বিস্তারে জেনেনিন

অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি শরীরের ওজন বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এই অতিরিক্ত মেদ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে আমাদের শরীরে ঠিক কত প্রকার মেদ রয়েছে অথবা কোন মেদ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, সে বিষয়ে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। মেদ মূলত স্নেহজাতীয় পদার্থ এবং প্রোটিন, শর্করা ও স্নেহ পদার্থই মানবদেহ গঠনের অপরিহার্য উপাদান। তাই ফ্যাট শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় হলেও, ভালো ও খারাপ ফ্যাটের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান।

শরীরের ভালো ফ্যাট যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনই অতিরিক্ত খারাপ ফ্যাট বিভিন্ন রোগব্যাধি ডেকে আনতে পারে। इसीलिए বিশেষজ্ঞরা শরীরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেদ জমতে না দেওয়ার পরামর্শ দেন। আপনি কি জানেন আমাদের শরীরে কত ধরনের ফ্যাট থাকে? চলুন, আজ জেনে নেওয়া যাক শরীরের বিভিন্ন প্রকার মেদ সম্পর্কে-

বেইজ ফ্যাট: এই ফ্যাট হলো সাদা ও বাদামি চর্বির একটি মিশ্রণ। যখন আমরা ব্যায়াম করি, তখন শরীর সাদা চর্বিকে ইরিসিন নামক হরমোন ব্যবহার করে বেইজ ফ্যাটে রূপান্তরিত করে। এই প্রক্রিয়াটিকে ‘ব্রাউনিং’ বলা হয়। সাধারণত গলার হাড়ের আশেপাশে এবং মেরুদণ্ড বরাবর এই ধরনের ফ্যাট দেখা যায়। আঙুরের মতো সাইট্রাস ফল খাওয়া এই বাদামি হওয়ার প্রক্রিয়াকে ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

ব্রাউন বা বাদামি ফ্যাট: এটি শরীরের জন্য ভালো চর্বি, যা সাধারণত ঘাড়ের পেছনের দিকে এবং বুকে পাওয়া যায়। এটি ‘ব্রাউন অ্যাডিপোজ টিস্যু’ বা ‘বিএটি’ নামেও পরিচিত। এই চর্বি আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বজায় রাখতে সহায়ক। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং উন্নত জীবনধারা অনুসরণের মাধ্যমে এই ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

ভিসেরাল ফ্যাট: এই ফ্যাট সম্পর্কে কমবেশি সকলেই অবগত। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ভুঁড়িতে যে চর্বি জমে, তার প্রধান কারণ হলো এই ভিসেরাল ফ্যাট। যদিও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সুরক্ষার জন্য সামান্য পরিমাণে এই স্নেহ পদার্থের প্রয়োজন রয়েছে, তবে এর অতিরিক্ত accumulation কোলেস্টেরল, ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

সাদা সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাট: এই ফ্যাট শরীরের চর্বিযুক্ত সাদা ফ্যাটের ভাণ্ডারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এমনকি ত্বকের নিচের এই সাদা চর্বি অ্যাডিপোনেক্টিন উৎপাদনের মাধ্যমে শরীরে নিঃসৃত ইনসুলিনকেও নিয়ন্ত্রণ করে। সাদা সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাট সাধারণত শরীরের জন্য ভালো। তবে এর পরিমাণ বেড়ে গেলে অ্যাডিপোনেক্টিনের অতিরিক্ত ক্ষরণ হতে পারে, যা শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। একই সাথে নিতম্ব, উরু এবং পেটের চারপাশেও চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

সাবকুটেনিয়াস ফ্যাট: এই চর্বি ত্বকের ঠিক নিচে অবস্থান করে এবং সাধারণত নিতম্ব, বাহু ও পায়ের পেছনের দিকে জমে। পেটে এই মেদের পরিমাণ অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকের নিচে চর্বি বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের আধিক্য। এই হরমোন শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেলে নারী ও পুরুষ উভয়ের শরীরেই অস্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy