যৌনবাহিত রোগ বা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ (এসটিডি) একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা প্রায়শই লজ্জার কারণে অবহেলিত হয়। এই রোগগুলো যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়াতে পারে এবং সময় মতো চিকিৎসা না হলে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে। এসটিডি-র ২০টিরও বেশি প্রকার রয়েছে, যার মধ্যে ক্ল্যামিডিয়া, গনোরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি এবং এইচপিভি অন্যতম।
এসটিডি-র লক্ষণসমূহ:
যৌনাঙ্গে ঘা বা আঁচিল: যৌনাঙ্গে বা তার আশেপাশে যদি বেদনাদায়ক ঘা বা আঁচিল দেখা যায়, তবে তা এসটিডি-র লক্ষণ হতে পারে। এটি এইচপিভি-এর একটি সাধারণ উপসর্গ।
অস্বাভাবিক স্রাব: যৌনাঙ্গ বা মলদ্বার থেকে অস্বাভাবিক, দুর্গন্ধযুক্ত এবং রক্তাক্ত স্রাব বের হলে তা এসটিডি নির্দেশ করতে পারে। যেমন, ঘন স্রাব গনোরিয়া এবং পাতলা, আঁশটে গন্ধযুক্ত স্রাব ট্রাইকোমোনিয়াসিস রোগের লক্ষণ।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া: প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া এসটিডি-র একটি প্রাথমিক লক্ষণ। তবে এটি ইউরিন ইনফেকশন বা ডিহাইড্রেশনের কারণেও হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যৌনাঙ্গে চুলকানি ও লালচেভাব: ক্রমাগত চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং লালচেভাব যৌনবাহিত সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়।
মুখে ফোসকা বা ঘা: যদিও বিরল, কিছু এসটিডি, যেমন হারপিস বা সিফিলিসের কারণে মুখে বা গলায় ঘা দেখা দিতে পারে।
এসটিডি প্রতিরোধের উপায়:
কনডমের ব্যবহার: ল্যাটেক্স বা পলিউরেথেন কনডমের সঠিক ব্যবহার এসটিডি ছড়ানোর ঝুঁকি কমাতে পারে।
সুরক্ষিত অভ্যাস: সংক্রমণ এড়াতে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলা।
সচেতনতা ও নিয়মিত পরীক্ষা: যৌনবাহিত রোগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি। বিশেষ করে যদি কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, তবে লজ্জা না পেয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এসটিডি থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হলে, এই রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা এবং স্বাস্থ্যকর যৌন অভ্যাস মেনে চলা অপরিহার্য।