যে ৫ ধরনের মানুষের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি, জেনে নিন

অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চার অভাবে বর্তমানে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কোলেস্টেরল হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা তাই সুস্থ জীবনের জন্য অপরিহার্য। কোলেস্টেরল হলো একটি মোমযুক্ত পদার্থ যা রক্তনালিতে পাওয়া যায় এবং এর দুটি প্রধান প্রকার হলো— ভালো (HDL) ও খারাপ (LDL) কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ৫ ধরনের মানুষের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি:

১. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) এর তথ্য অনুসারে, যারা স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান, তাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। ঘি, মাখন, কেক, বিস্কুট এবং মাংসের মতো খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এই ধরনের খাবার গ্রহণের পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত।

২. শরীরচর্চার অভাব:
সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরি। যাদের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ কম, তাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। CDC আরও জানায়, স্থূলতা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, যা সরাসরি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কিত।

৩. ধূমপান:
ধূমপায়ীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ। ধূমপান রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বেশি চর্বি সঞ্চয় করতে উৎসাহিত করে। একই সাথে, এটি উচ্চ-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (ভালো কোলেস্টেরল) হ্রাস করে।

৪. পারিবারিক জেনেটিক রোগ:
কিছু মানুষের মধ্যে পারিবারিক হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া (FH) নামে একটি বংশগত জেনেটিক রোগ দেখা যায়। এই অবস্থায় শৈশব থেকেই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি থাকে। যদি সময়মতো চিকিৎসা না করানো হয়, তাহলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

৫. বয়স:
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে। এর কারণ হলো, বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীর রক্ত থেকে কোলেস্টেরল অপসারণের ক্ষমতা হারায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের তুলনায় নারীদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে।

এই ঝুঁকির কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকলে এবং জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনলে হার্ট অ্যাটাকসহ বিভিন্ন হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy