যেসব বাচ্চার ওজন বেশি তাঁদের লিভারে চর্বি জমে নিতো?

ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবুও কঠিন এই রোগ নিয়ে সচেতনতা নেই কারও মধ্যেই। লিভারে এমনিতেও স্বাস্থ্যকর কিছু চর্বি থাকে, তবে এর চেয়ে বেশি পরিমাণে চর্বি জমতে শুরু করে লিভার তার কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করে। ফলে শরীরে নানা লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে।

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ কী কী?

>> পেট ভার হয়ে যাওয়া
>> হজমের সমস্যা
>> বমিবমি ভাব থাকতে পারে ইত্যাদি।
>> প্রথমদিকে তেমন পেটে ব্যথা থাকে না।

ফ্যাটি লিভার কেন হয়?

এ বিষয়ে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক এবং পরিপাকতন্ত্র ও লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ জানান, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের কারণেও অনেকেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হন।

আর পশ্চিমা সমাজে লিভারে চর্বি জমার প্রধান কারণ হলো অ্যালকোহল। এ ছাড়াও বিভিন্ন ওষুধ সেবন অথবা অন্যান্য রোগের কারণেও ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে। আবার কম ওজনের মানুষেরও হতে পারে, সেটিকে লিন ফ্যাটি লিভার বলা হয়।

লিভারের চর্বি জমার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। বাচ্চাদের মধ্যেও এখন এই রোগের হার প্রায় ১৫ শতাংশ। এজন্য বাচ্চাদের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে যেসব বাচ্চার ওজন বেশি।

ফ্যাটি লিভার অনেকটাই নীরব ঘাতক। প্রথম দিকে কেউই এ সমস্যার কথা জানতে পারেন না। আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে গিয়ে ধরা পড়ে। শুরুর দিকে লিভারের চারপাশে কিছু চর্বি জমা হয়, অন্য কোনো লক্ষণ থাকে না।

এরপর ধীরে ধীরে সেখানে প্রদাহ শুরু হয়। এ সময় লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুরুতে শরীরে শক্তি কমে যায় ও দুর্বল অনুভব করে। ক্ষুধা কমে যায়, জন্ডিস হতে পারে এমনকি শরীরের বিভিন্ন অংশ, চোখ, মুখ, হাত হলুদ হয়ে যেতে পারে।

ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এ অবস্থা দীর্ঘদিন চললে হাত-পায়ে জল জমতে পারে। অনেক সময় রক্ত বমিও হয়। এরপরও চিকিৎসা না করালে সেটি লিভার ক্যানসারে পরিণত হতে পারে।’

ফ্যাটি লিভারের সমস্যা প্রতিরোধে এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এজন্য দরকার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, পরিমিত ঘুম ও শরীরচর্চা করার মাধ্যমে সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এই সমস্যা।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy