পাকস্থলীর ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ, যা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে চিকিৎসা করা সহজ হয়। তবে, এই রোগের লক্ষণগুলো প্রায়শই এতটাই সাধারণ হয় যে অনেকেই সেগুলোকে পেটের সাধারণ সমস্যা মনে করে উপেক্ষা করে থাকেন। এই অবহেলা অনেক সময় মারাত্মক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। পাকস্থলীর ক্যান্সারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি।
পাকস্থলীর ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণগুলি হলো:
বুকজ্বালা ও পেটে ব্যথা: প্রায়শই বুকজ্বালা বা পেটে ব্যথা হলে আমরা তা হজমের সমস্যা মনে করি। কিন্তু যদি এই লক্ষণগুলি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে তা পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
বমি বমি ভাব ও বমি: বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই যদি বমি বমি ভাব হয় বা ঘন ঘন বমি হয়, তাহলে সতর্ক হতে হবে।
ক্ষুধামন্দা ও ওজন হ্রাস: হঠাৎ করে ক্ষুধা কমে যাওয়া এবং কোনো চেষ্টা ছাড়াই ওজন কমতে থাকা এই রোগের একটি বড় লক্ষণ।
মলত্যাগে সমস্যা: বারবার পায়খানা হওয়া বা মলত্যাগের সময় রক্তপাত হওয়া খুবই গুরুতর একটি লক্ষণ। এটি দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অন্যান্য লক্ষণ: এছাড়া মুখে ঘা, ত্বকে লালচে দাগ এবং শরীরের লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়াও পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, যদি এই লক্ষণগুলির মধ্যে যেকোনো একটি বা একাধিক লক্ষণ দীর্ঘদিন ধরে দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে একজন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। কারণ এই ক্যান্সারের চিকিৎসায় দেরি হলে তা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর উপায়:
এই মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। যেমন:
ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ: ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এই রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে প্রাথমিক পর্যায়েই রোগ ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
সঠিক সময়ে সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিলে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব।