পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া ভালো। তবে এক্ষেত্রে যদি ব্যত্যয় ঘটে, তবে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অনেক অবিবাহিত নারী রয়েছেন, যাদের মাসিক অনিয়মিত; তাদের মাতৃত্বের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এ নারীরা অনেক সময় ইচ্ছে করলেও গর্ভধারণ করতে পারেন না। তাদের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আর সাময়িক সুবিধার কারণে অনেক নারী ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বিলম্বিত করতে চান। বেড়াতে যাওয়া বা জরুরি কাজের জন্য অনেকে সময় ঋতুস্রাবের কারণে অস্বস্তিতে পড়েন। এই অবস্থায় অনেকেই বেছে নেন ওষুধ খেয়ে ঋতুস্রাবের সময় এগিয়ে আনেন কিংবা পিছিয়ে দেন।
আপনি জানেন কি? এ ধরনের ওষুধ নারীর প্রজনন তন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই এসব কাজ ভুলেও করা যাবে না।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো এই ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে:
১. ঋতুস্রাবের চক্রে বিশৃঙ্খলা
ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড সময় এগিয়ে আনলে বা পেছালে ঋতুস্রাবের চক্রে বিশৃঙ্খলা হতে পারে। অনেকে ওষুধ সেবন করে স্বাভাবিক ঋতুস্রাবের চক্রে পরিবর্তন আনছেন। আর কিছু নারী আবার এই ওষুধগুলোকে জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ ভেবে সেবনের কারণে গর্ভবতীও হয়ে যান, যা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
২. অস্বাভাবিক রক্তপাত
ঋতুস্রাব বিলম্ব করার জন্য ওষুধ খাওয়ার পর কয়েকমাস ঋতুস্রাবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি রক্তপাত হতে পারে। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং রক্তস্বল্পতার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৩. মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি
ঋতুস্রাব বিলম্বিত করার ওষুধ ও জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি দীর্ঘসময় ধরে খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে হতে পারে মারাত্মক রোগ যেমন: ‘ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস’ (Deep Vein Thrombosis) বা রক্ত জমাট বেঁধে ধমনি আটকে যাওয়া, ‘পালমোনারি এমবোলিজম’ (Pulmonary Embolism) সহ বিভিন্ন জটিল রোগ হতে পারে।
৪. যকৃতের উপর প্রভাব
এসব ওষুধ যকৃতে শোষিত হয়। ফলে তা অন্যান্য ওষুধের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। এছাড়া যকৃতের কার্যক্ষমতাও নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে, যা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
৫. বিভিন্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
এসব ওষুধের বিভিন্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা, ডায়রিয়া, যোনীপথে অপ্রত্যাশিত রক্তক্ষরণ, ব্যথা, পেশিতে টানসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, যা দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে।