পাকস্থলীর ক্যান্সার, শরীরে এই লক্ষণগুলি দেখলে সাবধান!

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পাকস্থলী, আর এর সংক্রমণজনিত রোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো পাকস্থলীর ক্যান্সার। মূলত পেটের টিস্যু তৈরি করা কোষের ডিএনএতে পরিবর্তন হলে এই ক্যান্সারের সূচনা ঘটে। ডিএনএ-এর এই পরিবর্তন কোষকে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে ও একত্রিত হয়ে টিউমার তৈরি করতে বলে, যা অন্যান্য সুস্থ কোষকে মেরে ফেলে এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

যদিও পাকস্থলীর ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে কিছু গবেষণা থেকে এর সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। চলুন, জেনে নিই সেই কারণগুলো:

১. গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ: এই রোগে খাদ্যনালীর পেশি ঠিকমতো বন্ধ হয় না, যার ফলে পাকস্থলীর ভিতরের অ্যাসিড খাদ্যনালীতে উঠে আসে এবং জ্বালা সৃষ্টি করে। নিয়মিত এই সমস্যা হলে তা পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

২. স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা অনেক রোগের কারণ, যার মধ্যে পাকস্থলীর ক্যান্সারও অন্যতম। তাই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

৩. নোনতা ও ধোঁয়াযুক্ত খাবার: অতিরিক্ত পরিমাণে নোনতা এবং ধোঁয়াযুক্ত খাবার খাওয়া পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৪. ফল ও সবজি কম খাওয়া: শরীরের জন্য ফল ও সবজি অপরিহার্য। এই ধরনের খাবার কম খেলে হজমশক্তির সমস্যা হয় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৫. পারিবারিক ইতিহাস: যদি পরিবারে কারো পাকস্থলীর ক্যান্সারের ইতিহাস থাকে, তবে সেই ব্যক্তির এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

৬. দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস্ট্রিক: দীর্ঘদিন ধরে পেটে প্রদাহ বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে তা ধীরে ধীরে পাকস্থলীর ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে।

৭. ধূমপান: দীর্ঘ সময় ধরে এবং অতিরিক্ত ধূমপান করলে তা শুধু ফুসফুসেরই নয়, বরং পাকস্থলীরও মারাত্মক ক্ষতি করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকলে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। যদি উপরোক্ত লক্ষণগুলির কোনোটি দেখা যায়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy