নিম্ন রক্তচাপের ঝুঁকি ও তা নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায়

নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশনকে অনেকে হালকাভাবে নিলেও এটি উচ্চ রক্তচাপের মতোই বিপজ্জনক হতে পারে। চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন যে, নিম্ন রক্তচাপের কারণে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়া এবং গুরুতর ক্ষেত্রে শকের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই সমস্যাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে এই সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব।

নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়
কালো কফি: চিনি ছাড়া এক কাপ কালো কফি সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। ক্যাফেইন দ্রুত কাজ করে বলে এটি নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর।

লবণ জল: এক গ্লাস লবণ জল নিম্ন রক্তচাপের জন্য তাৎক্ষণিক সমাধান। লবণে থাকা সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস জলে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে পান করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা আছে, তাদের লবণ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।

কিশমিশ: নিয়মিত কিশমিশ খেলে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এক মুঠো কিশমিশ সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই জল পান করা এবং কিশমিশগুলো খেয়ে নেওয়া রক্তচাপের মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

গাজরের রস ও মধু: প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গাজরের রসের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে তা দ্রুত নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় কাজ করে। গাজর রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে এবং মধু শরীরে শক্তি যোগায়।

যষ্টিমধু: যষ্টিমধু বা Licorice নিম্ন রক্তচাপের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এটি রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম যষ্টিমধু এক কাপ জলে ২-৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সেই জল পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, যদি নিয়মিত এই সমস্যা দেখা দেয় বা গুরুতর কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা গ্রহণ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy