দাঁতের ক্ষয় ও ছিদ্র? ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি পেতে পারেন এই ৩ টোটকায়!

বাচ্চা থেকে বুড়ো পর্যন্ত বর্তমানে দাঁতের ক্ষয় ও দাঁতে ছিদ্র হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দাঁতের সব রোগের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। দাঁতের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই দ্বারস্থ হন দন্তচিকিৎসকের। তবে কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বা এর ব্যথা উপশমে সহায়ক হতে পারে। আসুন, জেনে নিই সেই তিনটি সহজ ঘরোয়া উপায়।

১. হলুদ গুঁড়ো
দাঁতের ছিদ্রের সমস্যায় হলুদ গুঁড়ো ব্যবহার খুবই উপকারী। হলুদে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান আছে, যা দাঁতের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনকে ধ্বংস করতে পারে এবং এর প্রদাহরোধী উপাদান দাঁতের ব্যথা উপশম করতে পারে।

ব্যবহার পদ্ধতি: হলুদ গুঁড়া ও জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং আস্তে আস্তে ব্যথার দাঁতে লাগান, ব্যথা কমে যাবে।

২. পেঁয়াজ
পেঁয়াজের একটি স্লাইস আক্রান্ত দাঁতের উপরে চেপে রাখুন, দাঁতের ব্যথা কমে যাবে। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে দাঁত ক্ষয়ের সমস্যা কমায়। নিয়মিত পেঁয়াজ দেওয়া খাবার খেলে দাঁত ক্ষয় সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। পেঁয়াজের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।

৩. লবণ
লবণে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে, যা মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ব্যাহত করে, প্রদাহ কমাতে ও ব্যথাকে সহনীয় করতে সক্ষম।

ব্যবহার পদ্ধতি:

কুলি: ১ গ্লাস কুসুম গরম জলে ১ টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে মুখে নিয়ে ১ মিনিট রাখুন এবং আক্রান্ত দাঁতের প্রতি মনোযোগ দিন। এভাবে দিনে ৩ বার করে করলে ব্যথা কমে যায়।
ম্যাসেজ: ১ টেবিল চামচ লবণ অল্প সরিষার তেলের সাথে অথবা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাড়িতে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর কুসুম গরম জল দিয়ে কুলি করে নিন। এভাবে দিনে ২ বার করে কয়েকদিন করলে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে।
অন্যান্য কার্যকরী ঘরোয়া উপাদান:
এছাড়াও বেকিং সোডা, অ্যালোভেরা, লবঙ্গ, রসুন, পুদিনা, আপেল সিডার ভিনেগার ইত্যাদি ব্যবহার করেও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ও দাঁতের ব্যথা কমানো যায়। এই উপাদানগুলো প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণাবলী সম্পন্ন।

দাঁতের যত্নে যা জরুরি:
দাঁতের ক্ষয় ও ছিদ্র প্রতিরোধে প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:

ব্রাশ করা: সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করুন।
ফ্লস ব্যবহার: দাঁত পরিষ্কার করতে ফ্লস ব্যবহার করুন, যা দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
জিহ্বা পরিষ্কার: প্রতিদিন জিহ্বা পরিষ্কার করুন, কারণ জিহ্বাতেও প্রচুর ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy