ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে বেড়ে গেলে গেঁটে বাতের মতো কষ্টকর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই রোগের প্রধান লক্ষণ হল जोड़ों তীব্র ব্যথা। তবে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু বিশেষ ফল নিয়মিত খেলে এই তীব্র যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বিশেষত লাল রঙের কিছু ফল ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়ক হতে পারে। এই ফলগুলি আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক, গেঁটে বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্যকারী সেই লাল রঙের ফলগুলি কী কী:
বেদানা: বেদানার উপকারিতা অনেক। এই ফলটি কেবল স্বাস্থ্যকরই নয়, এটি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে গেঁটে বাতের সমস্যা এবং তার তীব্র যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
র্যাসপবেরি: র্যাসপবেরি একটি বিশেষ ধরনের জাম, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গুণ হল এটি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। র্যাসপবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই উপাদান দুটি শরীরের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
চেরি ফল: চেরি ফল ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। যাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি, তারা নিয়মিত চেরি ফল খেতে পারেন। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমলে গেঁটে বাতের সমস্যাতেও আরাম পাওয়া যায়। তাই, খাদ্যতালিকায় চেরি ফল অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
স্ট্রবেরি: লাল রঙের স্ট্রবেরি ফলের অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। এই ফলটি গেঁটে বাতের যন্ত্রণা কমাতেও সহায়ক হতে পারে। শুধু তাই নয়, স্ট্রবেরি খেলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে, কারণ এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, এই প্রসঙ্গে আরও কয়েকটি লাল রঙের ফলের উপকারিতা উল্লেখ করা যায়:
তরমুজ: গরমকালে তরমুজ খাওয়া শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সাহায্য করে। এর ফলে গেঁটে বাতের ব্যথা কমতে পারে এবং আরাম পাওয়া যায়।
লাল রঙের আঙুর: লাল আঙুর খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং গেঁটে বাতের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কমে। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও সাহায্য করে, যা সার্বিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখে।
রেড বেলপেপার (লাল ক্যাপসিকাম): লাল রঙের ক্যাপসিকাম বা বেলপেপার খেলেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এতে থাকা ভিটামিন সি এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
উল্লেখ্য, শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। जोड़ों ব্যথা ছাড়াও পায়ের পাতা ও গোড়ালিতে ফোলাভাব হতে পারে এবং কিডনির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। এর ফলে শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করে এবং ফ্লুইড রিটেনশনের কারণে হাত, পা ও মুখ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যেতে পারে। এমনকি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।
অতএব, গেঁটে বাতের সমস্যায় লাল রঙের এই ফলগুলি খাদ্যতালিকায় যোগ করার আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি আপনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের নির্দেশনা দিতে পারবেন।