কিছু উপায়ে শিশুর যত্ন নেওয়া প্রয়োজন মায়েদের ,রইলো টিপস

ঠান্ডা ও গরমের এ সময় অনেক শিশুরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে! দিনের বেলা গরম আর রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন! আবহাওয়ার ওঠা-নামার এ সময় সহজেই শিশুরা ঠান্ডা-জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত হয়। তাই শিশুকে এ সময় সঠিক পরিচর্যার মধ্যে রাখতে হবে। এ সময় শিশুদের ভাইরাস জ্বর হতে পারে। এমনটি হলে প্রচুর জল ও ফলের রস খাওয়াতে হবে শিশুকে। জ্বরের মাত্রা ১০০ ডিগ্রীর বেশি হলে অবশ্যই শিশুকে হাসপাতালে নিতে হবে।

শীতের শেষের দিকে, শিশুর শরীরে চুলকানি ও র্যাশের মতো বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দেয়। যা পরবর্তীতে মারাত্মক ফুসকুড়িওতে পরিণত হতে পারে। এ সময় অ্যালার্জি বেড়ে গিয়ে র‍্যাশ, ফুসকুড়ি বা চুলকানি হয়ে থাকে।

এজন্য যেসব শিশুর অ্যালার্জি আছে, তাদের ফুল থেকে দূরে রাখুন। আর বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই শিশুকে মাস্ক পরিয়ে নিন। বাইরে থেকে ফিরেই সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধুয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত গোসল ও পরিষ্কার জামা-কাপড় পরতে হবে শিশুকে।

এ সময় আরও কিছু উপায়ে শিশুর যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। রইলো টিপস-

>> শীত কম থাকলেও রাতের শেষের দিকে আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা থাকে। হয়তো ঘুমের মধ্যে শিশু শরীর থেকে লেপ বা কম্বলটি সরিয়ে ফেলে। এজন্য শেষ রাতের দিকে শিশুকে গরম কাপড়ে ঢেকে রাখুন।

>> শিশুকে একেবারেই পাতলা কাপড় পরিয়ে রাখবেন না। আবার বেশি ভারী কাপড় পরিয়ে রাখলেও শিশুর ঘাম হতে পারে। এতেও শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে। তাই দিন ও রাতের তাপমাত্রা বুঝে শিশুকে পোশাক পরান।

>> আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। শিশুর শরীর জীবাণুমুক্ত রাখতে গোসলের জলে অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড বা নিমের পাতা মিশিয়ে গোসল করাতে পারেন।

>> ছোটদের ত্বক অনেক কোমল ও সংবেদশীল হয়ে থাকে। তাই এ সময় জেনে-বুঝে শিশুর ত্বকের যত্ন নিন। শীতের শেষের দিকে ত্বক আরও খসখসে হয়ে যায়। তাই শিশুর শরীরে বডি লোশন বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

>> দিনের বেলায় হালকা গরম থাকার কারণে শিশুর শরীর অনেক সময় ভিজে যেতে পারে ঘামে। এজন্য শিশুর বগল বা কুচকিতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন যাতে না হয় এজন্য নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন এবং টেলকম পাউডার ব্যবহার করুন।

>> শিশুর শরীর ঘামছে বলে জোরে ফ্যান চালাবেন না। যদি ফ্যান চালাতেই হয়, তবে হালকা করে ছেড়ে রাখুন। রাতে ফ্যান না চালানো উচিত। অনেক সময় শুধু ফ্যানের বাতাসের কারণেও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।RS

>> ঋতু পরিবর্তনে শিশুরা ডায়রিয়াতেও বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই এ সময় শিশুর খাবারের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খেতে দিন। ফাস্টফুড কিংবা প্রকৃতিজাত কোনো খাবার শিশুকে খাওয়াবেন না।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy