ওজন কমাতে লোকে কত কিছুই না করেন! ওজন কমানোর চেষ্টায় গলদঘর্ম হয়েও রেহাই মেলে না। এবার রান্নাঘরে থাকা মশলা দিয়েই এক ঝটকায় কমবে ওজন। হিং সম্পর্কে অনেকেই জানেন, কিন্তু গুণাগুণ জানেন না। রান্নাঘরে সহজেই মেলে হিং। শুধু সবজির ঝাঁঝ বাড়াতেই নয়, ওজন কমাতেও সাহায্য করে হিং। এবার নিশ্চয়ই ভাবছেন, হিং কীভাবে আপনার স্থূলতা কমাতে পারে? কেবল ওজন কমাতেই নয়, মাইগ্রেনের সমস্যাতেও সহায়ক।
তাহলে চলুন জেনে নিই, ওজন কমাতে হিং কীভাবে ব্যবহার করবেন এবং এর অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা কী কী:
হিংয়ের জল: মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমানোর রহস্য
হিং জল ওজন কমাতে কার্যকর। হিংয়ের জল ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করা যায়। হিং জল খেলে বাড়ে মেটাবলিজমের সক্ষমতা। হালকা গরম জলে হিং মিশিয়ে পান করুন। মেটাবলিজম ঠিক থাকলে যা-ই খান না কেন, শরীরে মেদ জমে না। আর মেটাবলিজম শক্তিশালী করতে তাই খেতে হবে হিংয়ের জল।
হিংয়ে ঠিক কী রয়েছে? আসলে হিংয়ে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
হিংয়ের আরও উপকারিতা:
মেটাবলিজম শক্তিশালীকরণ: ইষদুষ্ণ গরম জলে হিংয়ের জল মিশিয়ে পান করলে শরীরের বিপাক ক্রিয়া শক্তিশালী হয়, যা ক্যালরি পোড়াতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মাথাব্যথা উপশম: যেকোনো ধরনের মাথাব্যথা হিংয়ের জল খেলে কমানো যায়। হিংয়ের জলকে আপনার দৈনন্দিন ডায়েটে যুক্ত করতে পারেন।
পিরিয়ডের ব্যথা উপশম: মহিলাদের পিরিয়ডের সময় খুব ব্যথা হলে হিং জল খেতে পারেন, এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
পেটের গোলমাল দূর: পেটের গোলমাল দূর করতেও হিং খুবই উপকারী। কুসুম গরম জলে এক চিমটি হিং মিশিয়ে নিন; পেটের সব সমস্যা সেরে যায়। আসলে হিংয়ের জলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা অ্যাসিডিটি দূর করে হজমশক্তির উন্নতি করে।
হাড় মজবুত করে: প্রতিদিন হিংয়ের জল খেলে হাড় মজবুত হয়।
রক্তের অভাব দূর ও দাঁত মজবুত: হিংয়ের জলে মেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে রক্তের অভাব দূর করে এবং দাঁতকেও মজবুত করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। হিং রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা দূর: হিংয়ের জল খেলে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যাও দূর হয় বলে মনে করা হয়।