মুড়ি আমাদের অতি পরিচিত একটি খাবার। হালকা ক্ষুধা নিবারণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মুখরোচক পদ তৈরিতে এর ব্যবহার ব্যাপক। তবে অনেকেই মনে করেন মুড়ি তেমন পুষ্টিকর নয় অথবা ইউরিক অ্যাসিডের ভয়ে এটি খাওয়া কমিয়ে দেন বা বন্ধ করে দেন। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, মুড়ির গুণ কিন্তু মোটেও কম নয়! আপনি যদি প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে মুড়ি খান, তবে ক্ষতির বদলে লাভই বেশি। আসুন জেনে নেওয়া যাক মুড়ি খেলে কী কী উপকারিতা পাওয়া যায়:
অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়:
বর্তমানে অ্যাসিডিটির সমস্যা একটি সাধারণ ব্যাপার। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, ভাজাপোড়া এবং বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। আপনি যদি নিয়মিত মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস করেন, তবে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমতে পারে। কারণ মুড়ি খেলে তা পেটে অ্যাসিডের ক্ষরণে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটির সমস্যা বেশি হলে জলেতে মুড়ি ভিজিয়ে খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে:
মুড়িতে ক্যালোরির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে খুবই কম থাকে। আপনার যদি অল্প অল্প ক্ষুধা লাগে, তবে মুড়ি খেয়েই পেট ভরাতে পারেন। এতে শরীরে বাড়তি ক্যালোরি যোগ হওয়ার ভয় থাকে না। ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও কমে। যারা হালকা নাস্তা হিসেবে মুড়ি খান, তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:
সুস্থ থাকার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। রক্তচাপ বেড়ে গেলে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি প্রতিদিন মুড়ি খান, তবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হতে পারে। কারণ মুড়িতে সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে। তাই মুড়ি খাওয়ার পর পেট ভরলেও রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার তেমন কোনো ঝুঁকি থাকে না।
হাড় শক্ত করে:
আমাদের সুস্থ জীবনের জন্য হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখা অপরিহার্য। হাড়ে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তা দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ভোগান্তি ডেকে আনে। আর এই হাড়কে ভালো রাখতে সাহায্য করে ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায় মুড়িতে। তাই নিয়মিত মুড়ি খেলে হাড়ের সমস্যায় ভুগতে হবে না এবং এটি হাড়কে শক্তিশালী করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
সুতরাং, মুড়ি শুধু একটি হালকা খাবারই নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। পরিমিত পরিমাণে মুড়ি আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করে আপনিও পেতে পারেন এই সকল স্বাস্থ্য সুবিধা।
Canvas