দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার, যা ছোটবেলা থেকে শুরু করে সবাই পান করে থাকেন। তবে অনেক শিশুই দুধ খেতে অনীহা দেখায়, যা মায়েদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ শিশুরা দুধ না খেলে পর্যাপ্ত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শিশুদের শারীরিক বিকাশের জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য। হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখা থেকে শুরু করে স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু আপনার সন্তান যদি দুধ খেতে না চায়, তাহলে তার শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম কীভাবে পৌঁছবে? চিন্তা নেই! দুধের বিকল্প হিসেবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা আপনার শিশুর শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে পারে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক সেই ৫টি খাবার সম্পর্কে:
১. বাদাম:
বিভিন্ন ধরনের বাদাম, যেমন কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, এবং চীনাবাদাম নিয়মিতভাবে শিশুদের খাবারের তালিকায় যোগ করলে তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করা সম্ভব। বাদামে শুধু ক্যালসিয়ামই নয়, আরও অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে যা শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।
২. ওটস:
ওটস শুধু বি-ভিটামিনের উৎস নয়, এটি ক্যালসিয়ামেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য। গরুর দুধের পরিবর্তে কাঠবাদামের দুধের সাথে মিশিয়ে ওটস রান্না করলে তা আপনার বাচ্চার জন্য একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হতে পারে। ওটস হজম করাও সহজ এবং এটি দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
৩. সয়াবিন:
সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম বিদ্যমান। শিশুদের খাদ্যতালিকায় সয়াবিন রাখলে তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ে মায়ের চিন্তা অনেকটাই কমতে পারে। সয়াবিন বিভিন্ন রূপে খাওয়াতে পারেন, যেমন সয়াবিনের তরকারি বা সয়ামিল্ক।
৪. কমলালেবু:
অনেক শিশুই দুধের তুলনায় কমলালেবু খেতে বেশি পছন্দ করে। যদি নিয়মিতভাবে শিশুদের ডায়েটে কমলালেবু অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। কমলালেবু শুধু ক্যালসিয়ামই নয়, ভিটামিন সি-এরও একটি চমৎকার উৎস যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. সবুজ সবজি:
সবুজ শাক-সবজি ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। পালং শাক, ব্রকোলি, এবং অন্যান্য সবুজ পাতাযুক্ত সবজি শিশুদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যোগ করলে তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বজায় রাখা সম্ভব। সবুজ সবজি ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ যা শিশুদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
সুতরাং, আপনার শিশু যদি দুধ খেতে না চায়, তবে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই পাঁচটি খাবার তাদের খাদ্যতালিকায় যোগ করে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন যে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাচ্ছে এবং তাদের শারীরিক বিকাশ সঠিকভাবে হচ্ছে।