আপনি কি খুব রোগা? চটজলদি ওজন বাড়ানোর উপায় দেখেনিন

শরীর ফিট রাখতে না চায় কে? এজন্য শারীরিক কসরতের পাশাপাশি সঠিক পন্থায় খেতে হয় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। কিন্তু অনেকেরই তা হয়ে ওঠে না। কেউ ফ্যাটযুক্ত খাবার খেয়ে নিয়মের চেয়ে ওজন বাড়িয়ে ফেলে বেশি। আবার অনেকে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না করায় নিয়মের চেয়ে ওজন কম হয়।

যাদের ওজন কম, তারা জেনে নিতে পারেন ওজন বাড়ানোর ৫ পন্থা। তবে মনে রাখতে হবে, দ্রুত ওজন বাড়ানোর চেষ্টা সঠিক নয়। বরং শারীরিক কসরত করে যথাযথ খাবার খেয়ে ওজন বাড়াতে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ:
সারা দিনে যত ক্যালরি ঝরাচ্ছেন, এর চেয়ে ৩০০-৫০০ ক্যালরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। ওজন বাড়াতে চাইলে অবশ্যই খাদ্য তালিকায় উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার রাখতে হবে। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট, পেস্তা, চিনাবাদাম, খেজুর, কিসমিস, আলুবখরা, পনির, ক্রিম, মুরগির মাংস, আলু, মিষ্টি আলু, চকলেট, কলা, আ্যভোকাডো, পিনাট বাটার ইত্যাদি রাখতে পারেন।

শর্করার আধিক্য:
অনেকেই শর্করা জাতীয় কাবার কম খান। এটা ঠিক নয়। যাদের ওজন কম, তাদের অবশ্যই মোট ক্যালরির শতকরা ৫০-৬০ ভাগ শর্করা গ্রহণ করতে হবে। দিনে তিনবার প্রধান খাবার হিসেবে শর্করা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে আলু, আটা, চাল, পাস্তা রাখতে পারেন।

কম ফ্যাট ও বেশি প্রোটিন:
ফ্যাট জাতীয় খাদ্যের তুলনায় প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে বেশি। প্রোটিন পেশির ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। ফলে পেশি মজবুত হবে। কর্মদক্ষতা বাড়বে। বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে শরীরে মেদ জমবে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

দই ও দুধ খাওয়া:
স্বাভাবিক পদ্ধতিতে ওজন বাড়ানোর জন্য দুধ খুবই উপকারী। তবে অনেকে দুখ খেতে পারেন না। সেক্ষেত্রে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, সকালে দইয়ের সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেতে হবে। প্রতি দিন খাবারের তালিকায় অবশ্যই দুধ রাখা প্রয়োজন।

একসঙ্গে অনকে খাবার না খাওয়া:
ওজন বাড়াতে চাইলে একসঙ্গে অনেক খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। একসঙ্গে অনেক খাবার খাওয়ার পরিবর্তে অল্প অল্প করে বেশিবার খেতে থাকুন। তাতে খাবার হজম হবে সঠিকভাবে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy