অসতর্ক হলে ডিমেনশিয়ার শিকার হতে পারেন, এই ৫টি লক্ষণ দেখলে সতর্ক হন

ছোটখাটো বিষয় ভুলে যাওয়া মানুষের জীবনে একটি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু যদি এই ভুলে যাওয়ার প্রবণতা মারাত্মক আকার ধারণ করে, তাহলে তা ডিমেনশিয়ার লক্ষণ হতে পারে। এটি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত দেখা যায়। যদিও ডিমেনশিয়ার কোনো নিরাময় নেই, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে এর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমেনশিয়া শুরু হওয়ার আগে কিছু সূক্ষ্ম লক্ষণ প্রকাশ পায়। জেনে নিন তেমনই পাঁচটি প্রাথমিক লক্ষণ:

কথা বুঝতে না পারা: অক্সফোর্ডের গবেষকদের মতে, কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে নির্দিষ্ট কারও কথা বুঝতে না পারা ডিমেনশিয়ার একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। যদিও এটিকে প্রায়শই শ্রবণশক্তির সমস্যা হিসেবে দেখা হয়, তবে এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার লক্ষণও হতে পারে।

স্মৃতিশক্তির হ্রাস: ডিমেনশিয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া। আক্রান্ত ব্যক্তিরা জরুরি কথা বা পুরোনো স্মৃতি মনে করতে পারেন না। তারা দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটি বিষয় মনে রাখতে পরিবার বা বন্ধুদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।

প্রতিদিনের পরিচিত কাজ কঠিন মনে হওয়া: এক কাপ চা বানানো বা কম্পিউটার চালানোর মতো পরিচিত কাজগুলোও ডিমেনশিয়ার কারণে কঠিন মনে হতে পারে। এগুলি এমন কাজ যা দীর্ঘদিন ধরে করা হলেও, এই অবস্থায় তা সম্পূর্ণ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে।

সঠিক শব্দ খুঁজে না পাওয়া: ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়শই কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারেন না বা সঠিক শব্দ খুঁজে পান না। তারা কথা বলার সময় ভুলে যান যে কী বলছিলেন বা অন্যরা কী বলছিল। এর ফলে কথোপকথন দীর্ঘ এবং জটিল হয়ে যেতে পারে।

ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন: ডিমেনশিয়ার আরেকটি লক্ষণ হলো ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন। হাসিখুশি থাকা ব্যক্তি হঠাৎ করেই বিষণ্ণ বা হতাশ হয়ে পড়তে পারেন। ব্যক্তিত্বের এই ধরনের পরিবর্তন ধীরে ধীরে এবং স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

যদি এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি আপনার মধ্যে বা আপনার পরিচিত কারও মধ্যে দেখা যায়, তবে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy