বিজয়া দশমী মানেই গ্ল্যামার দুনিয়ার তারকাদের ফ্যাশন-দোল। বলিউড থেকে টলিউড—সকলেই মাতোয়ারা সিঁদুরখেলায়। কিন্তু এবারের উৎসবে সব তারকাদের থেকে বেশি নজর কাড়লেন অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ স্মৃতি ইরানি, যিনি ছোট পর্দায় ‘তুলসী’ নামেই পরিচিত। তাঁর নিখুঁত খাঁটি বাঙালি সাজ এবং নম্র স্বভাব মুগ্ধ করেছে সকলকে।
দিল্লীর বানজারা রোডের পুজোয় এ বছর দেবীবরণ করলেন স্মৃতি।
তুলসীর নিখুঁত বাঙালি সাজ ও ঘরোয়া আন্তরিকতা
যদিও স্মৃতি ইরানি বাঙালি নন, তবু তাঁকে দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না। লাল শাড়ি, হাতে শাঁখা-পালা, সিঁথিতে সিঁদুর এবং গলায় সোনার হার-কানপাশায় তিনি ছিলেন এক নিখুঁত বাঙালি পরিবারের বধূ।
দেবীবরণ: তিনি পুরোপুরি বাঙালি রীতি মেনে পান পাতা ও সন্দেশ দিয়ে মা দুর্গাকে বিদায় জানালেন।
বাংলায় বার্তা: বিদায় জানানোর পর তিনি বললেন, “আবার এসো মা।”
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট: স্মৃতি তাঁর সিঁদুরখেলার সামাজিক মাধ্যমে বাংলার শিল্পী ইমন চক্রবর্তী ও ‘দোহার’ গানের দলের লোকগান ব্যবহার করেছেন।
নেটিজেনরা স্মৃতির এই বাঙালি প্রীতি দেখে মুগ্ধ। তাঁদের মতে, স্মৃতির এই বাঙালিয়ানা কোনও নকল নয়, তাঁর মনের ভিতর রয়েছে বাংলার প্রতি আন্তরিকতা।
স্মৃতির রক্তে বাঙালিয়ানা: মায়ের আদর্শ
অবাঙালি হয়েও স্মৃতির এত নিখুঁত বাঙালিয়ানার রহস্যটা লুকিয়ে আছে তাঁর পরিবারে।
মিশ্র সংস্কৃতি: স্মৃতির বাবা অজয় কুমার মালহোত্রা হলেন পাঞ্জাবি-মহারাষ্ট্রিয়ান। কিন্তু তাঁর মা শিবানী বাগচি হলেন খোদ বাঙালি।
মাতৃশিক্ষা: দুই সংস্কৃতির মেলবন্ধনে বেড়ে ওঠা স্মৃতির এই নিখুঁত বাঙালিয়ানা এবং শুদ্ধ বাংলা বলতে পারা—সবই মায়ের আদর্শ থেকে শেখা। স্মৃতি ‘অমৃতা’ নামে একটি বাংলা ছবিও করেছিলেন।
এই দিন প্রমাণ হয়ে গেল, খাঁটি বাঙালি সাজ আর নম্রতা এখনও হালআমলের ফ্যাশনের থেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। স্মৃতি ইরানি যেন তাঁর সাজ ও নম্রতার মাধ্যমেই এই বার্তাই দিলেন।