জুবিন গর্গের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিতে অস্বীকার স্ত্রী গরিমার! হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত?

জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গকে নাকি বিষ দেওয়া হয়েছিল! তাঁর আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে সিঙ্গাপুরে শুরু হওয়া রহস্য এবার অসমের মাটিতে এসে আরও চাঞ্চল্যকর মোড় নিল। সম্প্রতি গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে জুবিনের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়। শনিবার রাতে সেই রিপোর্টের কপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা যখন জুবিনের স্ত্রী গরিমা গর্গের হাতে তুলে দেন, তিনি তা নিতে অস্বীকার করেন।

কেন রিপোর্ট নিলেন না গরিমা?
গারিমার স্পষ্ট বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তাঁর ব্যক্তিগত নথি নয়। তিনি জানান, “যাঁরা তদন্ত করছেন, এই রিপোর্ট তাঁদের কাজে লাগবে। বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) যদি মনে করে, তাহলে তারা রিপোর্টের বিষয়বস্তু প্রকাশ করতে পারে।” তাঁর এই সিদ্ধান্ত জুবিনের মৃত্যুরহস্যের তদন্তে তাঁর আস্থার ইঙ্গিত দেয়।

ব্যান্ড সদস্যের বিস্ফোরক দাবি: ‘জুবিনকে বিষ দেওয়া হয়েছিল’
অন্যদিকে, জুবিনের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁরই এক ব্যান্ড সদস্য শেখরজ্যোতি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। পুলিশের জেরায় তিনি বলেন, গায়ক জলে ডুবে মারা যাননি, বরং তাঁকে বিষ দেওয়া হয়েছিল! এই দাবির পরই গরিমার মুখে পাল্টা প্রশ্ন, “বিষের উল্লেখ করতে শেখরজ্যোতি এত সময় কেন নিলেন সেটাই বুঝতে পারছি না। তাঁর কাছে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য থেকে থাকলে সে কথা আগেই পুলিশকে বলতে পারতেন।” তবে তিনি জানান, SIT তাদের কাজ করছে এবং অপরাধী যেই হোক, শাস্তি পাবে।

তদন্তে জটিলতা: সিঙ্গাপুরের সহযোগিতার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর
১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়ে স্কুবা ডাইভিং করার সময় জলের মধ্যেই খিঁচুনি উঠে ডুবে যান জুবিন। প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে মৃত্যু মনে করা হলেও, মৃগী রোগী হিসেবে জলে নামা এবং তাঁর ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শেখরজ্যোতি পুলিশকে আরও জানান, জুবিনের শ্বাসকষ্ট হওয়া সত্ত্বেও ম্যানেজার নাকি অন্যদের তাঁকে জল থেকে তুলতে বাধা দিয়ে বারবার বলছিলেন, ‘ওকে যেতে দাও, যেতে দাও’ (Jabao de, Jabao de)।

এমতাবস্থায়, তদন্তের কাজে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি জানান, সিঙ্গাপুরে অবস্থান করা উৎসবের আয়োজক-সহ অন্যান্য অসমের বাসিন্দারা সাহায্য না করলে পুলিশের পক্ষে তদন্ত শেষ করা কঠিন। অসম পুলিশের পক্ষে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তদন্ত করাও সম্ভব নয়। তাই এই তদন্তের সাফল্য এখন সিঙ্গাপুরে থাকা অসমের বাসিন্দাদের সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy