২০১৪ সালে প্রযোজক আদিত্য চোপড়া-র সঙ্গে একপ্রকার চুপিসারেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী রানি মুখার্জি। দেখতে দেখতে বিয়ের ১১ বছর কেটে গেলেও, এই তারকা দম্পতি তাঁদের জীবনের ‘বিগ ডে’-র কোনো ছবি আজ পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় বা প্রকাশ্যে আনেননি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রানি মুখার্জি জানিয়েছেন, তাঁদের বিয়ের ছবি হয়তো আর কখনোই প্রকাশ্যে আসবে না।
‘আমার স্বামী ভীষণ প্রাইভেট মানুষ’
উপস্থাপক যখন মজা করে জানতে চান, রানি কি তাঁদের বিবাহবার্ষিকীর সিলভার জুবিলিতে ছবিগুলি প্রকাশ করবেন, তখন অভিনেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে এটি তাঁর স্বামীর ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়।
রানি বলেন, “আমার স্বামী ভীষণ প্রাইভেট একজন মানুষ এবং বিয়েটিকে খুব ব্যক্তিগত রাখতে চেয়েছিলেন। আমার মনে হয় না তিনি জীবনে আর কখনও বিয়ের ছবিগুলো সকলের সঙ্গে শেয়ার করতে চাইবেন।”
ব্যক্তিগত জীবন গোপন রাখার কারণ
নিজের ব্যক্তিগত জীবন গোপন রাখার কারণ প্রসঙ্গে রানি মুখার্জি বলেন, “আমি সবসময়ই ব্যক্তিগত ছিলাম, কারণ আমার কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবন সম্পূর্ণ আলাদা। আমি মনে করি কিছু বিষয় আপনার নিজের জন্যই রাখা উচিত। তাহলে আপনার চারপাশের পরিবেশও অনেকটা সুরক্ষিত থাকবে। সবকিছু সকলের জন্য নয়।” তিনি এটিকে কোনো ‘কঠিন নিয়ম’ হিসেবে না দেখে ‘জীবনযাপনের নীতি’ হিসেবে দেখতে ভালবাসেন বলে জানান।
আদিত্য চোপড়ার অনুপ্রেরণা
সাক্ষাৎকারে রানি তাঁর স্বামী আদিত্য চোপড়ার প্রশংসা করে জানান যে, কন্যা আদিরাকে বড় করার দিকে মন দেওয়ার কারণে যখন তিনি কাজে ফিরতে চাইছিলেন না, তখন আদিত্যই তাঁকে ‘হিচকি’ ছবিতে অভিনয় করতে উৎসাহিত করেছিলেন।
রানি বলেন, “আমার স্বামী আমাকে ‘হিচকি’ করতে অনেক উৎসাহ দিয়েছিলেন। আমাকে বলেছিলেন, ‘তুমি রানি মুখোপাধ্যায়। তুমি তোমার ভক্তদের সঙ্গে এটা করতে পারো না। তোমাকে আবার নিজের জায়গায় ফিরতে হবে।'”
তিনি আরও বলেন, “একজন স্বামী হিসেবে উনি আমার জীবনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। যিনি আমাকে বলেছেন, ‘তুমি এগিয়ে যাও এবং নিজের জীবন বাঁচো। তুমি কেবল ঘরে বসে একটাই ভূমিকা পালন করতে পারো না, তোমার আরও অনেক ভূমিকা আছে।'” রানি মনে করেন, আদিত্য চোপড়া তাঁর বাবা-মা যশ চোপড়া এবং পামেলা চোপড়ার শিক্ষায় শিক্ষিত, তাই তিনি কখনও তাঁর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন না, বরং তাঁকে বাইরে বেরিয়ে কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করেন।