ধর্মেন্দ্রর শেষকৃত্যে ‘লুকোচুরি’ কেন? অস্থি বিসর্জন নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন হরিদ্বারের পুরোহিত

কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের পর তাঁর শেষকৃত্যে কেন এত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁর দুই পুত্র সানি দেওল বা ববি দেওল কেউই কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁদের পক্ষ থেকে শোকবার্তা আসেনি। তবে গত মঙ্গলবার (ডিসেম্বর ২, ২০২৫) এই দুই ভাইকে দেখা যায় হরিদ্বারে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সানি এবং ববি দেওল সানির ছেলে করণ দেওলকে সঙ্গে নিয়ে হরিদ্বারের হর কি পৌড়িতে ধর্মেন্দ্রর অস্থি নিয়ে হাজির হয়েছেন। তবে অস্থি নিয়ে গেলেও, তাঁর দুই ছেলে বাবার দেহাবশেষ গঙ্গায় বিসর্জন দেননি। বরং সেই দায়িত্ব পালন করেছেন ধর্মেন্দ্রর নাতি করণ।

কেন সানি-ববি বিসর্জন দিলেন না? হরিদ্বারের যে পুরোহিত পুরো বিষয়টি পরিচালনা করছিলেন, সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, সানি দেওল ও ববি দেওল বাবার अस्थি বিসর্জন দিতে এসে মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত এবং ভেঙে পড়েছিলেন যে তাঁরা এই গুরুত্ত্বপূর্ণ আচার পালনের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। সেই কারণেই শেষমেশ অস্থি বিসর্জনের কাজটি এগিয়ে এসে সম্পন্ন করেন ধর্মেন্দ্রর নাতি করণ দেওল। পুরোহিতের কথায়, হিন্দুশাস্ত্র মতে, নাতির হাতে দাদুর অস্থি বিসর্জন করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।

যদিও সানি, ববি এবং করণ দেওল অস্থি বিসর্জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনীর দুই মেয়ে এষা এবং অহনা দেওল এদিন উপস্থিত ছিলেন না।

ধর্মেন্দ্রর শেষ কাজ: ডিসেম্বর মাসেই ৯০ বছরে পা দিতেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হওয়ার কয়েক দিন আগেই মুম্বাইয়ে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল, যা নিয়ে ভক্তমহলে ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। ধর্মেন্দ্র শেষ অভিনীত ছবি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-তে জয়া বচ্চন ও শাবানা আজমির সঙ্গে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছিল। সামনেই মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর শেষ অভিনীত ছবি ‘ইক্কিস’, যেখানে তিনি অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্যা নন্দার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। বলিউডের ‘হি-ম্যান’-এর প্রয়াণে একটি যুগের অবসান হল।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy