কবীর সুমনের কলম-কণ্ঠে ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির নতুন গান! মুক্তি পেল ‘সে চলে গেলেও’

বড়দিন উপলক্ষে মুক্তি পেতে চলেছে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’। ছবির প্রচার এখন তুঙ্গে। এর মধ্যেই শনিবার, ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তি পেল এই ছবির অত্যন্ত আবেগঘন নতুন গান—’সে চলে গেলেও’।

মানুষ, সম্পর্ক বা কোনো জিনিস চলে গেলেও তার অবশেষ কি থেকে যায় না? কবীর সুমনের লেখা ও গাওয়া এই গানটি যেন সেই চিরায়ত প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছে। গানটিকে ছবিতে অসাধারণভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

গান ও দৃশ্যের বুনন:

সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সুরারোপে এবং কবীর সুমনের কথা ও কণ্ঠে এই গানটি ছবিতে তিনটি যুগের তিনটি বিদায়ের মুহূর্তকে অদ্ভুতভাবে এক করে দিয়েছে:

বিনোদিনী দাসীর বিদায়: দৃশ্যে ফুটে উঠেছে থিয়েটারের মঞ্চকে বিদায় জানানোর মুহূর্ত। স্টার থিয়েটারে বিনোদিনীর শেষ একবার ঘুরে বেড়িয়ে যাওয়া।

চৈতন্যের অন্তর্ধান: চৈতন্যের সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার মুহূর্ত, যা বর্তমান প্রজন্মের পরিচালক তাঁর ছবিতে ধারণ করেছেন।

বর্তমান প্রজন্মের পরিচালক: তাঁর বাথটাবে শুয়ে বই পড়ার মুহূর্ত।

তিনটি সময়, তিনটি যুগ এবং দু’জন মানুষের চলে যাওয়ার দৃশ্য গানটির মধ্যে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে, যেখানে মুছে গিয়েছে সমস্ত সময়ের ব্যবধান। গানটি স্পষ্ট করেছে—কেউ চলে গেলেও, তাঁর উপস্থিতি এবং প্রভাব থেকেই যায়।

শ্রোতাদের বিপুল সাড়া:

গানটি মুক্তি পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিপুল সাড়া পেয়েছে। মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিউজ ৩,০০০ ছাড়িয়েছে। শ্রোতারা কবীর সুমনের কাব্যিক লেখা এবং গায়কির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, “যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন যখন কবীর সুমন লেখেন।” অন্য একজন লিখেছেন, “অসাধারণ গানটা। অদ্ভুত এক মেয়ে আছে। সব কিছু চলে গেলেও এই গানটা অনেক দিন থেকে যাবে।”

শ্রোতাদের নজর এড়ায়নি যে গানটিতে কবীর সুমনের কণ্ঠকে ডি-এজিং (De-aging) করা হয়েছে, অর্থাৎ কণ্ঠের বয়স কমানো হয়েছে।

২৫ ডিসেম্বর মুক্তি:

আগামী ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’। ছবিতে শ্রীচৈতন্যের অন্তর্ধান রহস্য, বিনোদিনী দাসীর করা চৈতন্যলীলা এবং বর্তমান প্রজন্মের একজন পরিচালক (যিনি চৈতন্যদেবকে নিয়ে ছবি বানাচ্ছেন),—এই তিনটি যুগকে তুলে ধরা হবে।

মুখ্য চরিত্রে: চৈতন্যের ভূমিকায় থাকবেন দিব্যজ্যোতি দত্ত, বিনোদিনী দাসীর চরিত্রে দেখা যাবে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে। বর্তমান প্রজন্মের পরিচালক হিসেবে থাকবেন ঈশা সাহা, যাঁর ছবিতে চৈতন্য হবেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছেন ব্রাত্য বসু, আরাত্রিকা মাইতি প্রমুখ।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy