অসমের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গার্গের মর্মান্তিক মৃত্যু রহস্য ক্রমেই জটিল হচ্ছে। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হলো তা খুঁজে বের করতে গঠিত বিশেষ তদন্ত দল (সিট) ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করার পর, এবার তাঁর ব্যান্ডের আরও দুই সদস্যকে আটক করেছে। এর ফলে এই হাই-প্রোফাইল মামলায় মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল চারে।
বৃহস্পতিবার জুবিনের ব্যান্ডের সঙ্গী শেখর জ্যোতি গোস্বামী এবং সহশিল্পী অমৃতপ্রভা মহন্তকে তদন্তকারীরা গ্রেফতার করেন।
ইয়ট পার্টির ভিডিও ফুটেজে কী দেখা গেল?
১৯ সেপ্টেম্বর নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালের ইয়ট পার্টিতে এই দুই শিল্পী জুবিনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। সেদিন ৫২ বছরের জুবিন সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে ভেসে যান। তদন্তকারীদের নজরে এসেছে:
শেখর জ্যোতি গোস্বামীকে সেই সময় জুবিনের খুব কাছাকাছি সাঁতার কাটতে দেখা গিয়েছিল।
অন্যদিকে, অমৃতপ্রভা মহন্ত নাকি পুরো ঘটনাটি নিজের মোবাইলে রেকর্ড করেছিলেন।
গত ছয় দিন ধরে এই দুই শিল্পীকেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছিল।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
এর আগে, জুবিনের আপ্ত সহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মা এবং ফেস্টিভ্যালের ম্যানেজার শ্যামকানু মহন্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রথমে তাঁদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যু, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে মৃত্যুর কারণ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
পরে অসম সিআইডির বিশেষ ডিজিপি ও সিট প্রধান মুন্না গুপ্তা জানান, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ ধারায় খুনের অভিযোগও এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর থেকে প্রমাণ সংগ্রহের উদ্যোগ
সিট প্রধান মুন্না গুপ্তা জানিয়েছেন, তদন্ত দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁরা সিঙ্গাপুর থেকে প্রমাণ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছেন। এর জন্য নির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে খুব শিগগিরই প্রমাণ সংগ্রহ করা হবে বলে তিনি জানান।
গায়কের স্ত্রী গরিমা গার্গ এই তদন্ত নিয়ে আশাবাদী। তিনি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, “আইন তার নিজের পথেই চলবে। বিচার ব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সবাই জানতে চায় আসল সত্যিটা কী এবং কে কোন অপরাধে দোষী। দোষ প্রমাণ হলে খুব শিগগিরই শাস্তি পাবে তারা।”