জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা রাজীব ঠাকুর, যিনি তাঁর বন্ধু কপিল শর্মা এবং চন্দন প্রভাকরের সঙ্গে অমৃতসরে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, সম্প্রতি তাঁর শৈশবের চরম দারিদ্র্যের দিনগুলোর কথা স্মরণ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে রাজীব ঠাকুর জানান, ছোটবেলার সেই কঠিন দিনগুলো আজও তাঁর মনে গেঁথে আছে, আর সেই কারণেই আজ তিনি বিলাসবহুল জীবনে বিশ্বাসী।
‘হিন্দি রাশ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজীব ঠাকুর বলেন, “যতটা দারিদ্র্য জীবনে থাকা উচিত, আমি তার চেয়েও বেশি অভিজ্ঞতা লাভ করেছি।”
ছোট্ট ঘরেই সবকিছু, বিলাসিতা ছিল বাটার
রাজীবের পরিবারে পাঁচজন সদস্য ছিলেন। তাঁদের একটি ছোট্ট ঘরে থাকতে হত, যা একই সঙ্গে বেডরুম, বসার ঘর, বাথরুম এবং রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহৃত হত।
শীতকালের সংগ্রাম: শীতকালে দেওয়ালের ভেন্টিলেশনের ফুটো বন্ধ করার জন্য তাঁদের পুরনো সংবাদপত্র ব্যবহার করতে হত।
বিলাসিতা: তিনি বলেন, “আমুল বাটার ছিল এক বিলাসিতা।” তাঁর বাবা মাত্র ৫০ গ্রাম বাটার কিনে আনতেন, যা তাঁকে এবং তাঁর দুই ভাই-বোনকে ভাগ করে খেতে হত। রাজীব জানান, সেই অভাবের কারণে এখন তিনি প্রতিবার খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত বাটার চেয়ে নেন।
অন্ধকারে পড়াশোনা: ছোটবেলায় তাঁদের বাড়িতে মাত্র একটি ৪০ ওয়াটের বাল্ব ছিল, যার নীচে তিন ভাই-বোনকে পড়াশোনা করতে হত। চোখ জ্বালা করলেও কিছুই করার ছিল না। এই কারণে, তিনি এখন নিজের বেডরুমে সব আলো জ্বালিয়ে রাখেন, কারণ সেই অন্ধকার আজও তাঁকে ছোটবেলার দারিদ্র্যের কথা মনে করিয়ে দেয়।
বিলাসিতার প্রশ্নে আপোসহীন রাজীব
এক অধ্যক্ষের বাড়িতে রাজীবের মা জামা সেলাই করে দিতেন এবং রাজীব সেই সেলাই করা পোশাক পৌঁছে দিতেন। তখনই তিনি প্রথম টিউবলাইট দেখেছিলেন।
কপিল শর্মা ও চন্দন প্রভাকরের সঙ্গে মুম্বইয়ে এসে বিনোদন জগতে নিজের জায়গা করে নেওয়া রাজীব ঠাকুর এখন সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, কাজের ক্ষেত্রে কম টাকা নিতে পারলেও, বিজনেস ক্লাস টিকিট এবং স্যুটে থাকার বিষয়ে তিনি কখনও আপোস করেন না। তিনি বলেন, “এই অভিজ্ঞতা আমার কাছে অর্থের চেয়েও মূল্যবান। আমি বিজনেস লাউঞ্জে যেতে ভালবাসি।”