আজ ১০ অক্টোবর, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিন (World Mental Health Day)। আর এমন দিনে আলোচনার কেন্দ্রে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone)। কোনও ছবির প্রচার নয়, বরং তাঁর হাতে গড়া মানসিক স্বাস্থ্যের ফাউন্ডেশন ‘Live Love Laugh’-এর দশ বছর পূর্তি উদ্যাপন করতে মধ্যপ্রদেশে পৌঁছেছেন তিনি। এই বিশেষ মুহূর্তে অভিনেত্রী যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন—নীরবতার মধ্যেও লুকিয়ে থাকে যে বিপুল শক্তি।
গত দশ বছর ধরে নিজের জীবনের অন্ধকার দিককে শক্তির হাতিয়ার করে মানসিক স্বাস্থ্যের সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে নিরলস লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দীপিকা। তাঁর ফাউন্ডেশন আজ দেশের নানা প্রান্তে মানসিক স্বাস্থ্যের আলো পৌঁছে দিচ্ছে।
‘মৃদু হাসি’: নিঃশব্দে লড়াইয়ের শক্তি
অনুষ্ঠানে নিজের যাত্রাপথ নিয়ে কথা বলেন তিনি। জানান, এই সফর শুধুমাত্র তাঁর ফাউন্ডেশনের নয়, তাঁর নিজেরও আত্ম-আবিষ্কারের পথ। দীপিকা স্পষ্ট করেন, এই অর্জনের সঙ্গে যেমন গর্ব আছে, তেমনই আছে এক অদ্ভুত শান্তি—এক মৃদু হাসি, যিনি জানেন, লড়াই মানেই সর্বদা তলোয়ারের ঝনঝনানি নয়।
ন্যায্য দাবি ও পারিশ্রমিক নিয়ে চরম অভিজ্ঞতা
যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়—ন্যায্য দাবি তুলতে গিয়ে কখনও কোনও মূল্য দিতে হয়েছে কি না, দীপিকার জবাব নিঃশব্দে ছুঁয়ে যায় প্রত্যেকের মন। তিনি স্বীকার করেন, এটি তাঁর কাছে নতুন নয়:
“আমি বহু স্তরে এই লড়াই করেছি। পারিশ্রমিক নিয়েও আমাকে অনেক সময় এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে, যার নামও আমি জানি না কী দেব।”
তবে তাঁর লড়াইয়ের পদ্ধতি নিয়ে তিনি দৃঢ়:
“আমি এমন মানুষ, যিনি নিজের লড়াই, নিজের মতো করে লড়ে গিয়েছি, নিঃশব্দে। কোনওভাবে যদি কখনও সেটা প্রকাশ্যে আসে, সেটা কখনও আমার উদ্দেশ্য থাকে না। আমি যেমন বড় হয়েছি, তাতে মর্যাদা আর নীরব লড়াইয়ের মধ্যেই শক্তি খুঁজে পাই।”
দীপিকার এই সংযমী অথচ দৃঢ় উত্তর যেন গোটা শিল্পজগতের চলমান আলোচনাগুলোকে নতুন দিশা দেখায়। এক দশকের পথচলায় অসংখ্য মানুষের জীবনে আলো ছড়ানো এবং তার মধ্যেও নিজের বিশ্বাসকে আঁকড়ে রাখা—এটাই দীপিকার আসল জয়। তিনি আবারও প্রমাণ করলেন, শক্তি মানেই সব সময় গর্জন নয়, অনেক সময় তা প্রকাশ পায় নিস্তব্ধতার মধ্যেও—যেখানে আছে মাধুর্য, মর্যাদা, আর এক অদম্য উদ্দেশ্য।