কালীপুজো, ধনতেরাস এবং দীপাবলির পবিত্র সময়ে কেবল আলোর উৎসবই নয়, আকাশেও ঘটতে চলেছে এক বিরল মহাজাগতিক পরিবর্তন। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, একাধিক গ্রহের শুভ সংযোগে তৈরি হচ্ছে বিশেষ ‘ধনযোগ’। এই সময়ে মা লক্ষ্মী এবং ধনদেব কুবেরের বিশেষ আশীর্বাদ পেতে চলেছেন কয়েকটি রাশির জাতক-জাতিকারা।
বিশেষত এই চারটি রাশির জন্য উৎসবের এই সময়টি হতে চলেছে অত্যন্ত শুভ ও লাভজনক। আসুন, জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন রাশির ভাগ্যের দুয়ার খুলছে:
১. বৃষ রাশি (Taurus)
বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য ধনতেরাসের সময়টি হতে চলেছে অত্যন্ত শুভ। গ্রহের অবস্থান বলছে, এই রাশির জাতকরা অচিরেই অপ্রত্যাশিত ধনলাভের সুযোগ পাবেন।
- বিনিয়োগে লাভ: যারা জমি-বাড়ি কেনা বা রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য সময়টি অত্যন্ত মঙ্গলময়। নতুন বাড়ি, গাড়ি বা সোনা-রূপা কেনার ক্ষেত্রে রয়েছে বিশেষ শুভযোগ।
- অর্থনৈতিক স্থিতি: অর্থনৈতিক স্থিতি দারুণভাবে বাড়বে, সঙ্গে বাড়বে আত্মবিশ্বাস ও সম্মান।
২. সিংহ রাশি (Leo)
১৭ অক্টোবর থেকে সূর্য ও মঙ্গলের শুভ যুগল অবস্থান সিংহ রাশির জন্য নিয়ে আসছে সৌভাগ্যের বার্তা। জীবনের নানা বাধা কাটিয়ে এই সময় খুলে যাবে উন্নতির দরজা।
- কেরিয়ারে উন্নতি: কর্মক্ষেত্রে উন্নতি, আকস্মিক ধনলাভ, এবং সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পেতে পারে।
- শক্তি বৃদ্ধি: মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে বাড়বে আত্মশক্তি। শারীরিক দিক থেকেও মিলবে নতুন উদ্যম, ফলে শত্রুরা হারাবে দাপট।
৩. তুলা রাশি (Libra)
তুলা রাশির আকাশেও তৈরি হচ্ছে সূর্য ও মঙ্গলের শক্তিশালী শুভ সংযোগ। ফলে ঘরে আসতে পারে আনন্দের খবর এবং পারিবারিক সম্পর্কে আসবে উষ্ণতা।
- আয়ের নতুন পথ: ধনলাভের সম্ভাবনা যেমন উজ্জ্বল, তেমনই অপ্রত্যাশিতভাবে নতুন আয়ের পথও খুলে যেতে পারে।
- সাফল্য: ব্যবসা বা নতুন চুক্তির ক্ষেত্রেও মিলবে সাফল্য ও মুনাফা।
৪. কুম্ভ রাশি (Aquarius)
শনিদেবের বিশেষ অবস্থান কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য নিয়ে আসছে আর্থিক স্থিতি ও উন্নতির দারুণ নিশ্চয়তা।
- ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স: ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বৃদ্ধি, ব্যবসায় মুনাফার সম্ভাবনা, এমনকি কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতিরও যোগ রয়েছে।
- সম্পর্ক: যারা বিবাহযোগ্য, তাঁদের জীবনে এই সময় আসতে পারে নতুন এবং শুভ সম্পর্কের প্রস্তাব। সামগ্রিকভাবে এই সময় কুম্ভ রাশির জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে।
Disclaimer: (এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্যোতিষশাস্ত্রীয় অনুমান এবং লোকবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।)