বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিদেবকে ‘কর্মফল দাতা’ হিসেবে গণ্য করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, শনিদেব তার কর্ম অনুযায়ী ফল প্রদান করেন—কেউ রুষ্ট হলে জীবন তছনছ করে দেন, আবার কেউ প্রসন্ন হলে ধনসম্পদে ভরিয়ে তোলেন। সব গ্রহদের মধ্যে শনিকে সবচেয়ে প্রভাবশালী গ্রহ বলে মনে করা হয়। যদিও শনি ধীর গতিতে চলে, তিনি জাতকদের কাছ থেকে প্রচুর পরিশ্রম আশা করেন এবং তার বিনিময়ে তাদের বড় ফল দেন। শনি মকর ও কুম্ভ রাশির অধিপতি, তুলা রাশির উচ্চ ঘরে সঞ্চারণ করেন এবং মেষ রাশির নীচ শনি। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু রাশির উপর শনিদেবের বিশেষ কৃপা সর্বদা বজায় থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সৌভাগ্যবান ৪টি রাশি সম্পর্কে:
১. বৃষ রাশি: সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ভরা জীবন
বৃষ রাশির অধিপতি গ্রহ হল শুক্রদেব। শুক্র ও শনির মধ্যে মিত্রতার সম্পর্ক বিদ্যমান। এই কারণে বৃষ রাশির জাতকদের উপর শনিদেবের কৃপা সর্বদা থাকে। এই রাশির জাতকরা জীবনে সব ধরনের সুবিধা ও জাগতিক সুখ প্রাপ্তি করেন এবং সর্বদা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন অতিবাহিত করেন। তাদের জীবনে কখনও অর্থসংকট দেখা দেয় না এবং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়গুলোতে তারা বড় সফলতা অর্জন করেন।
২. তুলা রাশি: পরিশ্রমের সুফল ও অর্থভাগ্য
তুলা রাশির জাতকদের জন্য শনিদেব সর্বদা কৃপা করে থাকেন। এর কারণ হলো, তুলা রাশির উচ্চ ঘরে শনিদেব সঞ্চারণ করেন, তাই এই রাশির জাতকদের শনি সর্বদা শুভ ফল প্রদান করেন। এদের জীবনে কখনও অর্থের অভাব থাকে না। তুলা রাশির জাতকেরা কর্মঠ ও পরিশ্রমী হয়ে থাকেন, আর শনিদেব পরিশ্রমী মানুষদের কখনও নিরাশ করেন না। এই রাশির জাতকেরা জীবনের সব ক্ষেত্রে সফলতা পেয়ে থাকেন।
৩. কুম্ভ রাশি: পরিশ্রমের ফল ও ভাগ্যের সঙ্গ
কুম্ভ রাশির জাতকদের ওপর শনিদেবের বিশেষ কৃপা সব সময়ই থাকে। এই রাশির জাতকরা তাদের পরিশ্রমের জোরে জীবনে সফলতা অর্জন করে থাকেন। তাদের ভাগ্য সর্বদা সঙ্গ দেয়। অর্থ ও সুখ-সম্পদের জন্য এই রাশির জাতকেরা বিরাট পরিশ্রম করে থাকেন এবং তার সুফলও ভোগ করেন।
৪. মকর রাশি: সৌভাগ্য ও সফলতার শীর্ষে আরোহণ
মকর রাশির অধিপতি স্বয়ং শনিদেব, তাই এই রাশির ওপর শনির বিশেষ কৃপা সর্বদা থাকে। মকর রাশির জাতকরা খুবই পরিশ্রমী ও কর্মঠ প্রকৃতির হয়। তারা তাদের পরিশ্রমের পুরো ফল পেয়ে থাকেন। এই রাশির জাতকেরা সৌভাগ্যবান হয়ে থাকেন এবং নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে সফলতার শীর্ষে আরোহণ করেন।
(Disclaimer: এখানে প্রদত্ত তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং জ্যোতিষশাস্ত্রীয় তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ব্যক্তিগত ফলাফলের জন্য জ্যোতিষবিদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।)
