হিন্দু ধর্মে শনিদেবকে ‘ন্যায়ের দেবতা’ এবং ‘কর্মফলদাতা’ হিসেবে মানা হয়। মানুষের ভালো-মন্দ কাজের বিচার করে তিনি শুভ বা অশুভ ফল দান করেন। সাধারণত শনির ‘সাড়ে সাতি’ বা ‘ঢাইয়া’র নাম শুনলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শারীরিক, মানসিক বা আর্থিক বিপর্যয়ের ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে অন্য কথা।
এমন কিছু রাশি রয়েছে যারা জন্মগতভাবেই শনিদেবের অত্যন্ত প্রিয়। বড়বাবার বিশেষ আশীর্বাদ থাকায় শনির দশা বা অন্তর্দশাতেও এদের খুব একটা ক্ষতি হয় না, বরং উন্নতির শিখরে পৌঁছান তারা। দেখে নিন শনিদেবের সেই তিন প্রিয় রাশির তালিকা।
১. মকর রাশি (Capricorn)
মকর রাশির অধিপতি খোদ শনিদেব। এই রাশির জাতক-জাতিকারা স্বভাবগতভাবেই অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং লক্ষ্যভ্রষ্ট হন না। শনিদেব কর্মঠ ব্যক্তিদের পছন্দ করেন, তাই মকর রাশির ওপর তাঁর বিশেষ টান থাকে। সাড়ে সাতি বা ঢাইয়ার প্রভাবেও এদের কর্মজীবন বা ব্যবসায় খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না। বরং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এরা সমাজে উচ্চ পদে আসীন হন।
২. কুম্ভ রাশি (Aquarius)
মকরের মতো কুম্ভ রাশির অধিপতিও ভগবান শনি। এটি তাঁর ‘মূল ত্রিকোণ’ রাশি হিসেবে পরিচিত। কুম্ভ রাশির জাতকরা পরোপকারী, সমাজসেবী এবং দানশীল প্রকৃতির হন। এদের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা শনিদেবকে তুষ্ট করে। ফলে এরা সমাজে সম্মান, মর্যাদা এবং স্থিতিশীল জীবন উপভোগ করেন।
৩. তুলা রাশি (Libra)
জ্যোতিষ গণনা অনুযায়ী, তুলা রাশিতে শনি ‘তুঙ্গস্থ’ বা উচ্চস্থ থাকেন। তুলা রাশির জাতকরা জীবনে ভারসাম্য বজায় রেখে চলেন। যেহেতু শনি ন্যায়ের দেবতা, তাই ন্যায়পরায়ণ তুলা রাশি তাঁর খুব প্রিয়। বড়বাবার কৃপায় এদের জীবনে ধন-সম্পদ, ঐশ্বর্য এবং জাগতিক সুখের অভাব হয় না। চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিও এরা সহজে সামলে নিতে পারেন।
আপনি কি শনিদেবের প্রিয় হতে চান?
আপনার রাশি এই তালিকায় না থাকলেও চিন্তার কিছু নেই। কর্মফলদাতার আশীর্বাদ পেতে মেনে চলুন এই কয়েকটি সহজ নিয়ম:
-
সততা বজায় রাখুন: কখনও মিথ্যে বা অন্যায়ের আশ্রয় নেবেন না।
-
অসহায়কে সাহায্য: দরিদ্র ও আর্ত মানুষকে সাধ্যমতো দান করুন।
-
শনিবারের প্রতিকার: প্রতি শনিবার অশ্বত্থ গাছের নিচে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান।
বিঃদ্রঃ: এই প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং জ্যোতিষশাস্ত্রীয় অনুমানের ওপর ভিত্তি করে লেখা। কোনো প্রতিকার বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।