সংখ্যাতত্ত্বের রহস্যময় দুনিয়ায় প্রতিটি মূলাঙ্কের রয়েছে নিজস্ব তাৎপর্য, যা ব্যক্তির ভবিষ্যৎ ও ব্যক্তিত্বকে প্রভাবিত করে। আপনার জন্মতারিখের যোগফলই নির্ধারণ করে আপনার মূলাঙ্ক। যেমন, যাদের জন্ম ১, ১০, ১৯ বা ২৮ তারিখে, তাদের মূলাঙ্ক হবে ১। আজ আমরা আলোচনা করব সেই বিশেষ মূলাঙ্ক নিয়ে, যার অধিপতি স্বয়ং শনিদেব – মূলাঙ্ক ৮।
শনির বিশেষ প্রভাব: মূলাঙ্ক ৮-এর জাতকরা কেন বিশেষ?
যেকোনো মাসের ৮, ১৭ বা ২৬ তারিখে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মূলাঙ্ক হয় ৮। সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী, এই মূলাঙ্কের অধিপতি গ্রহ হল শনি। ফলস্বরূপ, এই জাতক-জাতিকাদের উপর শনিদেবের বিশেষ প্রভাব থাকে। বলা হয়, শনিদেবের কৃপায় এঁরা শুধু ধনীই হন না, বরং সমাজে প্রচুর সম্মানও অর্জন করেন।
কঠোর সংগ্রামের পর আসে সাফল্য:
শনিদেবকে ন্যায় ও কঠোর পরিশ্রমের দেবতা বলে মানা হয়। তাই, মূলাঙ্ক ৮-এর জাতকদের জীবনের প্রথমার্ধে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। অনেক সময় তাদের দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে জীবন কাটাতে হয়। তবে, এঁরা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং নিষ্ঠাবান হন। নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এঁরা নিরলস কাজ করেন এবং উচ্চ পদ অর্জন না করা পর্যন্ত বিশ্রাম নেন না। এই প্রাথমিক সংগ্রামই তাদের ভবিষ্যতের সাফল্যের ভিত তৈরি করে দেয়।
৪০ বছর বয়সের পর আসে সুদিন:
মূলাঙ্ক ৮-এর ব্যক্তিদের জীবনের এক উল্লেখযোগ্য দিক হল, সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর এঁরা দুর্দান্ত সাফল্য লাভ করেন। এমনকি যদি এঁরা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারেও জন্মগ্রহণ করেন, তবুও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এঁরা আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। ৪০ বছর পার হওয়ার পর এঁরা প্রচুর ধনসম্পদ ও সম্পত্তির মালিক হন এবং সমাজে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। বলা হয়, শনিদেব তাদের ধৈর্যের পুরস্কার দেন।
শুভ দিন ও সময়:
কর্মজীবনে বা ব্যবসায় মূলাঙ্ক ৮-এর জাতকরা অত্যন্ত সফল হন। এদের জন্য শুক্রবার এবং শনিবার বিশেষভাবে শুভ দিন বলে বিবেচিত হয়। এছাড়াও, সন্ধ্যার সময়কে এঁদের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়, যখন গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করা যেতে পারে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। Tips24 এর সত্যতা নিশ্চিত করে না।)