সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী এবার উদযাপিত হবে ১৬ই অগাস্ট। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই পুণ্য তিথি আসে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এবছর জন্মাষ্টমীর দিনে গ্রহ-নক্ষত্রের এক বিরল সংযোগ ঘটতে চলেছে। এই বিশেষ তিথিতে শনি, রাহু এবং কেতু বক্রী (বিপরীতমুখী) অবস্থায় থাকবে, যেখানে বুধ থাকবে মার্গী (প্রত্যক্ষ) অবস্থায়। জ্যোতিষীরা মনে করছেন, গ্রহের এই অবস্থান পরিবর্তন কয়েকটি নির্দিষ্ট রাশির জন্য অত্যন্ত শুভ ফল বয়ে আনবে।
বৃষ রাশি: শনি, রাহু ও কেতুর বক্রী চলনের প্রভাবে বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। শ্বশুরবাড়ির সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন মিটে যাবে এবং সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পাবে। দাম্পত্য জীবনে অশান্তি থাকলে তা কেটে যাবে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও দৃঢ় হবে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে আর্থিক সমস্যার সমাধান হবে এবং মানসিক দুশ্চিন্তা দূর হবে। যারা নতুন করে কর্মজীবন শুরু করার কথা ভাবছেন, তারা সুবর্ণ সুযোগ পেতে পারেন।
সিংহ রাশি: এই বিশেষ গ্রহ সংযোগের ফলে সিংহ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আর্থিক উন্নতির সম্ভাবনা প্রবল। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কাজগুলি এই সময় সম্পন্ন হবে। পারিবারিক জীবনে শান্তি ফিরে আসবে এবং বাবা-মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য জীবনসঙ্গীর সাথে মিলে কোনো সম্পত্তি কেনার সুযোগ আসতে পারে। যারা নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন, তারা কৃষ্ণের কৃপায় ভালো লাভ করতে পারবেন এবং আর্থিক অবস্থা আরও মজবুত হবে।
তুলা রাশি: শনি, রাহু, কেতুর বক্রী এবং বুধের মার্গী চলনের প্রভাবে তুলা রাশির জাতকরা আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবেন। ব্যাংক ব্যালেন্স বৃদ্ধি পাবে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে তা থেকে মুক্তি মিলবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে আপনি শক্তিশালী অনুভব করবেন। শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং আর্থিক অবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। সন্তানদের কাছ থেকে ভালো খবর পেতে পারেন এবং তাদের সাফল্য আপনাকে আনন্দ দেবে।
মীন রাশি: গ্রহের এই বিশেষ অবস্থানের কারণে মীন রাশির জাতকদের আর্থিক সংকট কাটতে চলেছে। জন্মাষ্টমীর এই সংযোগ আপনার ভাগ্য খুলে দিতে পারে, যার ফলে প্রচুর ধনসম্পদ লাভ হতে পারে। কোথাও বিনিয়োগ করে থাকলে তা থেকে শিগগিরই বড় অঙ্কের লাভ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। চাকরি এবং ব্যবসায় উন্নতি দেখা যাবে এবং নতুন কোনো কাজ শুরু করার জন্যও সময়টি শুভ। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা বাড়বে এবং সকলের উন্নতি হবে বলে জ্যোতিষবিদরা জানিয়েছেন।