মাইক্রোওয়েভ ওভেনের বিকিরণে ক্যান্সার, জেনেনিন কী বলছে গবেষণা

বিভিন্ন ধরণের বিকিরণ বা রেডিয়েশনের রয়েছে শক্তির বিভিন্ন স্তর। যেমন এক্স-রে তে প্রচুর শক্তি থাকে যা ডিএনএ ভেঙে ফেলতে পারে। এটি আয়নাইজিং রেডিয়েশন নামে পরিচিত। যা সময়ের সাথে সাথে ক্যান্সারের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

মাইক্রোওয়েভ, রেডিও তরঙ্গ এবং আলো যা আমরা দেখতে পাই সবই নন-আয়নাইজিং বিকিরণের উদাহরণ। একমাত্র নন-আয়নাইজিং রেডিয়েশন যা ক্যান্সার সৃষ্টি করে তা হল অতিবেগুনী (ইউভি) আলো। তাই অতিবেগুনী সূর্যের আলো এড়িয়ে চলতে বলা হয়, তখন ইউভির  মাত্রা বেশি থাকে। মাইক্রোওয়েভ ওভেন ক্যান্সার সৃষ্টি করে বলে জানা যায় না।

মাইক্রোওয়েভ ওভেন খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন ব্যবহার করে। এর মানে এই নয় যে খাবারকে তেজস্ক্রিয় করে। মাইক্রোওয়েভ জলের অণুগুলোকে কম্পিত করে খাবার গরম করে।

বেশির ভাগ গবেষণায় জানা যায়, মাইক্রোওয়েভে যে ধরনের  নন-আয়নাইজিং রেডিয়েশন  থাকে তা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় না। সেই হিসাবে এটি একেবারেই নিরাপদ। কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়মগুলো মেনে চললে মাইক্রোওয়েভে ওভেনে রান্না করা পুরোপুরি নিরাপদ। তাছাড়া খাবারের পুষ্টিগুণও বজায় থাকে।

** মাইক্রোওয়েভ ওভেন থেকে তরঙ্গ বা রেডিয়েশন যেন বাইরে না আসে। বাইরে না আসলে রেডিয়েশন বের হওয়ার কোন আশঙ্কা থাকে না। বন্ধ করে দিলে এর ভিতর  রেডিয়েশনের কোনও লক্ষণ থাকে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনেও এটি বলা হয়েছে।
ব্যবহারের পরে সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে।

**  মাইক্রোওয়েভ ভেঙে গেলে ব্যবহার করা উচিত নয়। এই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।

** কোন পাত্রে খাবার গরম করা বা রান্না করা হচ্ছে সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্লাস্টিকের বাটিতে গরম করা উচিত নয়। কাচের পাত্র ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ।

** ৩০০ ডিগ্রির ওপর গরম করলে তা ক্যানসার বা অন্যান্য অসুখের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে এর সঙ্গে মাইক্রোওয়েভের রেডিয়েশনের সম্পর্ক নেই। বেশি তাপমাত্রার  সম্পর্ক আছে।bs

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy