২০২৬ সালের শুরুতেই চিনের বিরুদ্ধে বড়সড় অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। দেশীয় ইস্পাত শিল্পকে বাঁচাতে এবং চিনা পণ্যের দাপট কমাতে কিছু নির্দিষ্ট ইস্পাত পণ্যের ওপর ১১ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। আগামী তিন বছরের জন্য এই শুল্ক কার্যকর থাকবে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রথম বছরে ১২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১.৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হবে চিনকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের বড় ইস্পাত প্রস্তুতকারী সংস্থা ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলিকে অক্সিজেন দিতেই এই সিদ্ধান্ত। আমেরিকার সঙ্গে চিনের চলমান শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারতীয় বাজারে সস্তায় চিনা ইস্পাত ঢোকা বন্ধ করে দেশীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাইছে এনডিএ সরকার।
অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সাম্প্রতিক এক দাবি ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বেজিংয়ের দাবি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে তারা মধ্যস্থতা করেছিল। নয়াদিল্লি এই দাবিকে ‘উদ্ভট’ ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাম হামলার পর ভারতীয় বায়ুসেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে থামেনি। পাকিস্তানি সেনা পিছু হটে সংঘর্ষ বিরতির অনুরোধ জানানোয় ভারত সংযম দেখিয়েছিল।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও দাবি করেছিলেন যে তাঁর হস্তক্ষেপে ভারত-পাক যুদ্ধ থেমেছে। নয়াদিল্লি প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এটি সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সামরিক স্তরের আলোচনার ফল। ট্রাম্প বা শি জিনপিং—কারও কথাতেই ভারত সামরিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। চিনের এই হঠাৎ মধ্যস্থতার দাবিকে আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্ব পাওয়ার স্রেফ একটি চেষ্টা হিসেবেই দেখছে সাউথ ব্লক।