কলকাতায় যখন শীতের কামড় অনুভূত হচ্ছে, তখন উত্তর ভারতের অবস্থা কার্যত হাড়হিম করা। মঙ্গলবার ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়াশার দাপটে ২১০-টিরও বেশি বিমানের উড়ান বিঘ্নিত হয়েছে, বাতিল করা হয়েছে ১১৮টি ফ্লাইট। রানওয়েতে দৃশ্যমানতা ৩৫০ মিটারে নেমে আসায় ১৮টি বিমানকে অন্য শহরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কুয়াশার প্রভাব পড়েছে সড়কেও। মঙ্গলবার ভোরে হরিয়ানার সোনিপতের বহলগড়ে দিল্লি-সোনিপত সড়কে দৃশ্যমানতা কম থাকায় পরপর বেশ কিছু গাড়ি একে অপরকে ধাক্কা মারে। এই চেন-অ্যাক্সিডেন্টে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং একাধিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়েতে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের নিচে নেমে আসায় যান চলাচল কার্যত থমকে গিয়েছিল। রেল দপ্তরের পক্ষ থেকেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং ট্রেন চলাচলের ওপর নজরদারির জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
তবে হাড়কাঁপানো এই ঠান্ডার মাঝেই পর্যটনপ্রেমীদের জন্য সুখবর দিয়েছে মৌসম ভবন। এদিন কাশ্মীর ও লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা ছিল হিমাঙ্কের নিচে। গুলমার্গে তাপমাত্রা নেমেছে মাইনাস ১.৬ ডিগ্রিতে, লেহ্-তে মাইনাস ৮.৪ ডিগ্রি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই কাশ্মীর ও লাদাখে ভারী তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সোলাং নালা, অটল টানেল ও রোটাং পাসও সাদা চাদরে ঢাকা পড়তে পারে। আফগানিস্তানের ওপর সক্রিয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই উত্তর ভারত জুড়ে এই প্রবল শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত পঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশাতেও শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।