২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের রণদামামা কি তবে তেহট্টের মাটি থেকেই বাজিয়ে দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী? মঙ্গলবার তেহট্টে বিজেপির এক জনসভা থেকে রাজ্য সরকার পতনের সরাসরি ডাক দিলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে ‘মহাগুরু’ দাবি করেন, এই সরকারের আয়ু আর বেশিদিন নেই। তবে এদিন তাঁর বক্তৃতায় সবথেকে বেশি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের ‘বিবেক সম্পন্ন’ হিন্দুদের প্রতি তাঁর বিশেষ আহ্বানে।
একজোট হওয়ার ডাক তেহট্টের জনসভায় মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “যাঁরা বামপন্থী, যাঁরা কংগ্রেস করেন বা যাঁরা আজও তৃণমূলের সঙ্গে আছেন—যদি আপনাদের বিবেক জীবিত থাকে, তবে সময় এসেছে একজোট হওয়ার।” তিনি মনে করেন, বাংলার অস্তিত্ব রক্ষায় দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই অত্যন্ত জরুরি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মিঠুনের এই ‘বিবেক সম্পন্ন হিন্দু’ কার্ড আসলে বিরোধী ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরিয়ে মেরুকরণের রাজনীতিকে একধাপ এগিয়ে দেওয়া।
সরকার পতনের হুঁশিয়ারি এদিনের সভা থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন মিঠুন। তিনি বলেন, বাংলার মানুষ আর এই ‘অত্যাচার’ সহ্য করবে না। উপস্থিত জনতার ভিড় দেখে তিনি দাবি করেন, পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে এবং খুব শীঘ্রই এই সরকারের পতন ঘটবে। মিঠুন চক্রবর্তীর এই আক্রমণাত্মক মেজাজকে ঘিরে ইতিমধ্যেই পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের দাবি, অভিনেতা হিসেবে তিনি জনপ্রিয় হলেও নেতা হিসেবে বারবার ফ্লপ করেছেন এবং তাঁর এই সাম্প্রদায়িক উস্কানি বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।