শীতের হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় গরম গরম পাটিসাপটা আর নলেন গুড়ের পায়েস—বাঙালির কাছে এর চেয়ে বড় সুখ আর নেই! কিন্তু সমস্যা বাধে তখনই, যখন প্যান থেকে পিঠে তুলতে গিয়ে তা ভেঙে যায় বা চ্যাটচ্যাটে হয়ে যায়। আপনিও কি এই সমস্যায় ভোগেন? চিন্তা নেই, আজ আপনাদের জন্য রইল পারফেক্ট ক্ষীরের পাটিসাপটা তৈরির এমন কিছু ট্রিক্স, যা মেনে চললে আপনার হাতের পিঠেও হবে একদম পেশাদারদের মতো।
১. ব্যাটার তৈরির জাদুকরী কৌশল: পাটিসাপটার আসল রহস্য লুকিয়ে থাকে তার ব্যাটারে। কেবল চালের গুঁড়ো নয়, এর সাথে সঠিক পরিমাণে ময়দা ও সুজি মেশানো জরুরি। শুকনো উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে তাতে অল্প অল্প করে দুধ যোগ করুন। ব্যাটার যেন খুব বেশি ঘন বা একদম জলের মতো পাতলা না হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো—ব্যাটারটি অন্তত ১ ঘণ্টা ঢাকা দিয়ে রাখুন। এতে সুজি ও চালের গুঁড়ো নরম হবে এবং পিঠে ফেটে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
২. শাহী ক্ষীরের পুর তৈরির পদ্ধতি: বাজারের কেনা পুরের চেয়ে বাড়িতে বানানো ঘন ক্রিমি ক্ষীরের স্বাদই আলাদা। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে তাতে গুঁড়ো দুধ, চিনি এবং সামান্য সুজি বা চালের গুঁড়ো মেশান। গুঁড়ো দুধ দিলে ক্ষীরের টেক্সচার অত্যন্ত মসৃণ ও ক্রিমি হয়। মিশ্রণটি অনবরত নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না এটি খোয়া ক্ষীরের মতো ঘন হয়ে প্যান থেকে ছেড়ে আসছে।
৩. ভাজার সঠিক নিয়ম: ভাজার সময় সবসময় নন-স্টিক প্যান ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। সামান্য ঘি ব্রাশ করে প্যানটি মাঝারি গরম হলে এক হাতা ব্যাটার দিয়ে পাতলা করে ছড়িয়ে দিন। আঁচ যেন সবসময় সিমে বা লো-তে থাকে। একপাশে পুর দিয়ে সাবধানে রোল করে নিন। ব্যাটারের ঘনত্ব ঠিক থাকলে এবং কম আঁচে ভাজলে পিঠে কোনোভাবেই প্যানে আটকাবে না।
এই শীতে এই সহজ কৌশলগুলো মেনে আজই বানিয়ে ফেলুন গরম গরম পাটিসাপটা। বাড়ির সকলের প্রশংসা মিলবে গ্যারান্টি!