আজ ২৮ ডিসেম্বর, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ১৪০তম প্রতিষ্ঠা দিবস। ১৮৮৫ সালের এই দিনেই মুম্বইয়ের এক সংস্কৃত কলেজে জন্ম নিয়েছিল ভারতের প্রাচীনতম এই রাজনৈতিক দল। আজ সেই বিশেষ দিনে দিল্লির ইন্দিরা ভবনে পতাকা উত্তোলন করে বর্তমান বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতেই তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, ২০২৬-এর লড়াইয়ের আগে এক চুল জমি ছাড়তে নারাজ হাত শিবির।
সংবিধান ও গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ: পতাকা উত্তোলন শেষে খাড়গে বলেন, “আজ দেশের সংবিধান এবং গণতন্ত্র— দুইই বড় বিপদের মুখে। গত ১১ বছর ধরে মোদী সরকার তিল তিল করে গড়ে তোলা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিকল্পিতভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, বিজেপি এবং আরএসএস নেতারা মন থেকে কখনও ভারতের তেরঙ্গা পতাকা বা সংবিধানকে মেনে নিতে পারেননি।
মোদীর ‘নীতি’ নিয়ে তোপ: খাড়গের নিশানায় ছিল মোদী সরকারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতি। তাঁর বক্তৃতার প্রধান পয়েন্টগুলি হলো:
মনরেগা ধ্বংসের অভিযোগ: গ্রামীণ ভারতের মেরুদণ্ড ‘মনরেগা’ প্রকল্পকে বিজেপি সরকার শেষ করে দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
পুঁজিপতিদের সরকার: কংগ্রেস সভাপতির মতে, বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের জন্য নয়, বরং পুঁজিপতি বন্ধুদের স্বার্থে আইন প্রণয়ন করছে।
জল-জমি-জঙ্গল: আদিবাসী ও প্রান্তিক মানুষের অধিকার আজ হুমকির মুখে। তাঁদের জমি ও বন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে সরব হন তিনি।
ইউপিএ আমলের তুলনা: ডঃ মনমোহন সিং এবং সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের সাফল্যের কথা স্মরণ করিয়ে খাড়গে বলেন, “আমরা জনগণকে তথ্য জানার অধিকার (RTI), শিক্ষার অধিকার (RTE) এবং খাদ্য সুরক্ষা দিয়েছি। কিন্তু আজ সরকার ভুয়ো তথ্য নিয়ে রাজনীতি করছে।”
১৮৮৫ সালে ৭২ জন প্রতিনিধির হাত ধরে শুরু হওয়া কংগ্রেস আজ ১৪০ বছরে পদার্পণ করল। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতারা আজ একযোগে বার্তা দিলেন, মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ মেনে দেশজুড়ে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’-এর লড়াই চালিয়ে যাবে কংগ্রেস।