২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বঙ্গ রাজনীতিতে ফুটছে নতুন বারুদ। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিদ্রোহী বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিলেন। আগে ১৩৫টি আসনের কথা বললেও, এবার তাঁর লক্ষ্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮২। অর্থাৎ বাংলার অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে তাঁর নবগঠিত দল ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’ (JUP)।
মুসলিম ভোট ব্যাংকে ফাটল? হুমায়ুন কবীর স্পষ্ট ভাষায় অভিযোগ তুলেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সরকার মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন। তাঁর দাবি, ওয়াকফ আইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে সংখ্যালঘুদের শুধু ব্যবহার করা হয়েছে, কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
আসছে কি ‘বিগ’ জোট? রাজনৈতিক মহলে সবথেকে বড় জল্পনা তৈরি হয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল AIMIM এবং নওশাদ সিদ্দিকীর ISF-এর সাথে জোট নিয়ে। হুমায়ুন জানিয়েছেন:
তিনি ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদের মিম (AIMIM) নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
নওশাদ সিদ্দিকীর আইএসএফ-এর সাথেও একযোগে লড়াই করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
তাঁর দাবি, এই জোট হলে পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ রাজনীতিকরাও চমকে যাবেন এমন ফলাফল হবে।
৩১ ডিসেম্বরের অপেক্ষা: হুমায়ুন কবীর ইঙ্গিত দিয়েছেন, জোটের বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা হতে পারে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। এই মহাজোট যদি বাস্তবে রূপ নেয়, তবে রাজ্যের মুসলিম প্রধান জেলাগুলোতে তৃণমূলের ভোট ব্যাংক যে বড়সড় ধাক্কা খাবে, তা বলাই বাহুল্য। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, মালদা ও উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলাগুলোতে ‘কিং মেকার’ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই বিদ্রোহী নেতা।
তৃণমূল যদিও এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ, তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ১৮২ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণাটি নবান্নের জন্য মোটেও সুখকর নয়।