বন্ধুত্বের খাতিরে নাকি নেতৃত্বের সমালোচনা? আরএসএস-এর ‘শক্তি’ নিয়ে দিগ্বিজয়ের বার্তার পাশে দাঁড়ালেন থারু, তুঙ্গে বিতর্ক!

কংগ্রেসের ১৪০তম প্রতিষ্ঠা দিবসেই দলের অন্দরের ফাটল কি প্রকাশ্যে চলে এল? বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের বিজেপি ও আরএসএস-এর সংস্থাগত শক্তির প্রশংসা এবং তার প্রেক্ষিতে শশী থারুর সমর্থন— দুইয়ে মিলে হাত শিবিরের অন্দরে এখন তুমুল শোরগোল।

বিতর্কের সূত্রপাত: সেই ‘পুরানো ছবি’
ঘটনার সূত্রপাত যখন রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিং ১৯৯০-এর দশকের একটি পুরানো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। সেই ছবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করার পাশাপাশি বিজেপি এবং আরএসএস (RSS)-এর সুশৃঙ্খল সাংগঠনিক দক্ষতার গুণগান করেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) বৈঠকের ঠিক আগে এই পোস্ট আসলে রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বের প্রতি এক পরোক্ষ বার্তা।

দিগ্বিজয়ের পাশে থারু:
এই ইস্যুতে যখন দলের ভেতর একাংশ ক্ষুব্ধ, ঠিক তখনই দিগ্বিজয় সিংয়ের পাশে দাঁড়ালেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারু। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন:

বন্ধুত্ব: “আমরা বন্ধু, বন্ধু হিসেবে কথা বলা খুবই স্বাভাবিক।”

সংগঠন: থারু স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করে নিয়েছেন যে, কংগ্রেসের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করা এখন সময়ের দাবি। তাঁর কথায়, “আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে— এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”

বিশ্লেষণ: কেন এই ‘বিজেপি প্রীতি’?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দিগ্বিজয় সিং সরাসরি নিজের দলকে আক্রমণ না করলেও, বিজেপির সাংগঠনিক সাফল্যের উদাহরণ টেনে আসলে কংগ্রেসের খামতিগুলোই আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। শশী থারুর মন্তব্য সেই সুরকেই আরও চড়া করেছে। যখন বিজেপি এবং আরএসএস-এর ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন দেশজুড়ে বিস্তৃত, তখন কংগ্রেসের ঢিলেঢালা সাংগঠনিক কাঠামো যে আসন্ন নির্বাচনগুলিতে বড় বাধা হতে পারে, সেই আশঙ্কাই ধরা পড়েছে দুই নেতার কথায়।

কংগ্রেসের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ:
প্রতিষ্ঠা দিবসের আবহে এই বিতর্ক প্রমাণ করছে যে, কংগ্রেসের ভেতরেই নেতৃত্বের একাংশ এখন আমূল সংস্কার চাইছে। থারুর এই ‘খোলাখুলি’ সমর্থন কি কংগ্রেসে নতুন কোনো মেরুকরণ তৈরি করবে? নাকি দলকে পুনর্গঠনের পথে হাঁটতে বাধ্য করবে হাইকম্যান্ডকে? নজর থাকবে সেদিকেই।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy