রাজ্যে চলমান এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মাঝেই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নন, ওপার বাংলার মানুষও তাঁর ওপর অগাধ ভরসা রাখেন। সৌগতবাবুর এই মন্তব্যের পরই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে রাজ্য রাজনীতি।
কী বললেন সৌগত রায়?
রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সৌগত রায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশের মানুষও ওঁর ওপর ভরসা করেন।” এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “শুভেন্দু বলছেন মমতা আর ৪ মাস মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, আসলে ৪ মাস পর শুভেন্দু নিজেই আর বিধায়ক থাকবেন না।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকেও ‘থার্ড ক্লাস মানুষ’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
সজল ঘোষের পাল্টা ‘পাকিস্তান’ তোপ:
সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের পাল্টায় আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জামাতদের মদতদাতা’ বলে তোপ দাগেন। সজল ঘোষের দাবি:
ওপার বাংলার যোগ: সজল ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশিরা ওঁর কথা শুনবে না কেন? পাকিস্তানও তো ওঁর কথা শোনে।”
পাক কানেকশন: তিনি আরও যোগ করেন, “পাকিস্তানের পার্লামেন্ট বা সাংবাদিক সম্মেলনে আলোচনা হয় যে ভারতে তাদের স্বজন কারা আছে? তখন অরুন্ধতী রায় আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসে।”
উস্কানির অভিযোগ: সজলের অভিযোগ, ওপার বাংলায় গণ্ডগোল লাগলে মুখ্যমন্ত্রী ওখানকার মানুষদের এরাজ্যে চলে আসার আহ্বান জানান, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
কেন এই বাগযুদ্ধ?
রাজ্যজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের (SIR) প্রক্রিয়া চলায় শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে এমনিতেই পারদ তুঙ্গে। তার ওপর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার পুত্রের দেশে ফেরা এবং হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে সরগরম বাংলা। এই আবহে সৌগত রায়ের ‘বাংলাদেশি’ কার্ড এবং বিজেপির ‘পাকিস্তান’ তোপ ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেরুকরণের রাজনীতিকে আরও উসকে দিল।