ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত তিনটে। চারদিকে গভীর নিস্তব্ধতা আর কুয়াশার চাদর। ঠিক সেই সময় জলপাইগুড়ি-ডুয়ার্স জাতীয় সড়কের গোশালা মোড় এলাকায় ঘটল এক হাড়হিম করা দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মুরগির খাবার বোঝাই লরি সজোরে ধাক্কা মারে রাস্তার ডিভাইডারে। আর মুহূর্তের মধ্যেই সেই লরি পরিণত হয় আগুনের গোলকায়!
আগুনের লেলিহান শিখা ও আতঙ্ক:
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে নির্মীয়মাণ হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ সংলগ্ন এলাকা। ডিভাইডারে ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গেই লরিটিতে আগুন ধরে যায়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা লরির শিখা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দূর থেকেও তা চোখে পড়ছিল। এই ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কের ওপর দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়।
চালকের তন্দ্রাচ্ছন্নতা নাকি যান্ত্রিক গোলযোগ?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কনকনে শীতের রাতে গাড়ি চালাতে চালাতে চালক কিছুটা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই এক মুহূর্তের অসতর্কতাই ডেকে আনে এই ভয়াবহ বিপদ। তবে স্বস্তির বিষয় এই যে, আগুন লরির কেবিনে ছড়িয়ে পড়ার আগেই চালক ও খালাসি কোনওরকমে গাড়ি থেকে বেরোতে সক্ষম হন। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তাঁরা।
দমকল ও পুলিশের তৎপরতা:
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও দমকলের ইঞ্জিন। দমকল কর্মীদের দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ভোরের দিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরিটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়ে গেলে পুনরায় জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শীতের রাতে জাতীয় সড়কে গাড়ি চালানোর সময় চালকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন।