পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধন তথা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পারদ এখন তুঙ্গে। এবার এই বিতর্কের কেন্দ্রে বারাসতের তৃণমূল সাংসদ তথা লোকসভায় দলের চিফ হুইপ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সাংসদের ৯০ বছর বয়সি অশতিপর বৃদ্ধা মা ইরা মিত্র, তাঁর দুই চিকিৎসক পুত্র বিশ্বনাথ ও বৈদ্যনাথ দস্তিদার এবং বোন পিয়ালি মিত্রকে শুনানিতে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। এক জন দাপুটে সাংসদের পরিবারের সদস্যদের এভাবে শুনানিতে ডাকার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগ, এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, “বিজেপির উদ্দেশ্যই হল সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করা যাতে তাঁরা ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। আমার পরিবারের সঙ্গে এমনটা হলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়।” সাংসদের দাবি, তাঁর পরিবার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা এবং নিয়মিত ভোট দিয়ে আসছেন, তা সত্ত্বেও খসড়া তালিকায় নাম না থাকা বা শুনানিতে ডাকা অত্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
পাল্টা যুক্তিতে কমিশন জানিয়েছে, সাংসদের পরিবারের চার জনের ক্ষেত্রে এনিওমারেশন ফর্মের সঙ্গে ২০০২ সালের সংশোধিত তালিকার কোনও সংযোগ পাওয়া যায়নি, তাই এই আইনি প্রক্রিয়া। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “কাগজপত্র দেখালেই তো নাম উঠে যাবে, ভয় পাওয়ার কী আছে? সব কিছুতেই রাজনীতি খোঁজা তৃণমূলের স্বভাব।” আগামী ৩১ ডিসেম্বর ও ৮ জানুয়ারি সাংসদের পরিবারের সদস্যদের শুনানিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে, ভোটার তালিকা নিয়ে শাসক বনাম কমিশন ও বিজেপির লড়াই এখন চরমে।