প্রায় তিন দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির কক্ষপথ আবর্তিত হয়েছে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশের সেই ‘দুই নেত্রী’র অধ্যায়ের পর এবার কি নতুন কোনো নারী নেতৃত্বের উত্থান হতে চলেছে? বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে ঘিরে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সেই প্রশ্নকেই নতুন করে উসকে দিচ্ছে। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে বাবা তারেক রহমানের সঙ্গে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন পেশায় ব্যারিস্টার জাইমা। আর পা রাখার পর থেকেই তিনি সংবাদ শিরোনামে।
নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোটার হিসেবে নাম নথিভুক্ত করা থেকে শুরু করে বাবার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জাইমার উপস্থিতি এখন নিয়মিত ঘটনা। সম্প্রতি জাইমা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “আমি কখনওই নিজের শিকড় ভুলিনি। বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে আমিও বড় ভূমিকা পালন করতে চাই।” জাইমার এই ‘রোডম্যাপ’ সম্বলিত মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চুলচেরা বিশ্লেষণ। অনেকে মনে করছেন, ২০২৬-এর জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-র অন্যতম মুখ হতে চলেছেন এই তরুণী ব্যারিস্টার।
রাজনৈতিক মহলের মতে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অতীতে নানা অভিযোগ থাকলেও জাইমা রহমানের ভাবমূর্তি একেবারে ‘ক্লিন’। জুলাই বিপ্লব বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রবাসে থেকেও সরব ছিলেন তিনি। এছাড়া ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দেয়। বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা এবং তারেক রহমানের আইনি লড়াইয়ের মাঝে জাইমা হতে পারেন বিএনপি-র নতুন তুরুপের তাস। সময় ও পরিস্থিতিই বলে দেবে, হাসিনা-খালেদা যুগের পর জাইমা রহমান বাংলাদেশের ভাগ্যবিধাতা হয়ে উঠবেন কি না।