ওড়িশার সম্বলপুরে মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিক জুয়েল রানার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। শনিবার রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই একটি ‘জিরো এফআইআর’ (Zero FIR) দায়ের করা হয়েছে এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল ওড়িশায় রওনা দিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুতি থানার চক বাহাদুর গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল রানা জীবিকার তাগিদে ওড়িশায় গিয়েছিলেন। গত ২৪ ডিসেম্বর সম্বলপুর জেলার আইন্থাপালি থানার দানিপালি এলাকায় একদল দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে লাঠি ও ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও তাঁকে কোনো চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়নি, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, সুতি থানায় মামলা দায়ের করে তা সংশ্লিষ্ট ওড়িশার থানায় পাঠানো হয়েছে। যদিও ওড়িশা পুলিশ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে, তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দলটি খতিয়ে দেখবে এই খুনের নেপথ্যে কেবলই ‘পরিচয় বিভ্রাট’ নাকি অন্য কোনো পুরনো শত্রুতা ছিল।
রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং ওড়িশা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে।” প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং জুয়েলের নিথর দেহ গ্রামে ফিরিয়ে আনার সমস্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বদ্ধপরিকর।